বেকার জীবনের কষ্ট গুলো (শেষ পর্ব)
2 comments
সেখানে যেতেই তার সাবিহার বাবার সাথে দেখা হোলো। সাবিহার বাবা যথারীতি রাজনকে দেখেই জেরা করতে শুরু করলেন। কিন্তু রাজন কোন কথার জবাব দিচ্ছিলো না। এর ভেতর সাবিহা সেখানে আসতেই রাজন সাবিহার হাতে তার জয়েনিং লেটারটা তুলে দিলো। সাবিহা খাম খুলে জয়েনিং লেটার দেখে অবাক হয়ে গেলো। সাবিহার বাবা সাবিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে তার হাত থেকে জয়েনি লেটার নিয়ে দেখতে গিয়ে তার চেহারাটাও হোলো দেখার মতো। মুহূর্তেই তার মুখের ভাব পাল্টে গেলো। সে বলতে লাগলো এত ভালো একটা খবর অথচ তুমি মুখে একটা কথাও বলছো না। সে তাড়াতাড়ি সাবিহার মাকে ডাকতে লাগলো। বলল রাজনের জন্য একটু মিষ্টি নিয়ে এসো।
কিন্তু রাজনের কানে কোন কিছুই ঢুকছিল না। রাজন সাবিয়ার হাত ধরে বাইরে চলে গেলো। সাবিহা হাসতে হাসতে বলতে লাগলো কি করছো তুমি? রাজন বললো আমি নিজেও জানিনা আমি কি করছি। আজকে সারাদিন আমি আর তুমি ঘুরে বেড়াবো। সাবিহা তখন বলে সারাদিন ঘুরে বেড়াবে তোমার কাছে টাকা আছে?রাজন বলে আমার পকেটে একেবারেই ফাঁকা। তখন সাবিহা বলে তুমি এক মিনিট দাড়াও। আমি আমার ব্যাগটা নিয়ে আসি। এই কথা বলে সাবিহা দৌড়ে বাড়ির ভেতর গিয়ে তার হ্যান্ড ব্যাগটা নিয়ে আসে। তারপর দুজনে অজানার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ে। সেদিন সারাটা দিন তারা দুজন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ফিরে বেড়ায় রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে। স্বপ্নের মতো করে তারা দিনটা কাটায়।
সারাদিন তারা তাদের বিয়ের পরিকল্পনা করে। বাড়ি ফিরে যখন রাজন তার মাকে চাকরির কথাটা জানায়। রাজনের মাও অনেক খুশি হয়। রাজন তখন তার মাকে বলে মা আমাদের সাথে তুমিও আমার ফ্ল্যাটে থাকবে। তখন রাজনের মা মৃদু হেসে বলে তাই কি হয় রে? সবাইকে ফেলে আমি কিভাবে তোর সাথে থাকবো বল? সে বলে তার চাইতে তুই মাঝে মাঝে এসে আমাকে দেখে যাস। তাহলে আমি খুশি থাকবো। রাজনের চাকরির খবরটা তার পরিবারের সবার কানে পৌঁছাতেই সবার চেহারা পাল্টে যায়। তার বাবা তাকে ডেকে নানা রকম উপদেশ দিতে শুরু করে। ভাই বোনেরাও তার আশেপাশে ঘুরঘুর করতে থাকে। আর এভাবেই তার বেকার জীবনের কষ্টগুলো হারিয়ে যায় যেতে থাকে। (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
Comments