দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ১৭

darklights -

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।




লিংক


আসলে আমাদের জীবনে প্রতিদিন কিছু কষ্টের মুহূর্ত এবং কিছু আনন্দের মুহূর্ত অনুভব করতে পারি। বাইরে চলাফেরা করতে গেলে আমাদের বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচয় হয় এবং তাদের সাথে আমরা বিভিন্ন ধরনের আনন্দের মুহূর্ত কাটাতে পারি। আসলে প্রতিদিনকার কাজ করার সূত্রে আমরা বিভিন্ন জায়গায় যেতে যেতে সেই চলাচলের পথে বিভিন্ন ধরনের লোকজনের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করি এবং তাদের সাথে বিভিন্ন মজার মজার বিষয় আলোচনা করি। আসলে এসব লোকেদের সাথে যেতে যেতে আমরা সময়টাকে প্রায় ভুলেই যাই। মনে হয় যেন সেই সময়টুকু আমরা অন্য একটা আনন্দের জগতে বসবাস করি। আসলে বিশেষ করে ট্রেনে যারা প্রতিদিন যাতায়াত করে তাদের এরকম একটা টিম হয়ে যায়। যদিও এই টিমের মেম্বার গুলো কিন্তু সবাই এক এক জনের এক এক ধরনের বয়সের হয়ে থাকে।


আপনি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখবেন যে এইসব সদস্যদের ভিতরে কেউ আছে ৫০ বছরের উর্ধ্বে আবার কেউ আছে ২৫ বছরের নিচে। অর্থাৎ তারা যখন এক জায়গায় বসে এই বিভিন্ন বয়সের মানুষগুলো আড্ডায় মজে যায় তখন তাদের বয়সটা যেন কিছু সময়ের জন্য ভুলে যায়। আসলে এইসব লোকেদের জন্য যাতায়াতের পথটা যতই কষ্টের হোক না কেন সবকিছু যেন নিমিষেই আমাদের শরীর থেকে দূর হয়ে যায়। আসলে হঠাৎ করে একদিন মনে হল যে আজ বাইকে করে কাজে যাব না। তাই ভাবলাম যে আজ কাজে যেতে হলে ট্রেনে করে কাজে যাব। আসলে প্রতিদিন বাইক চালিয়ে কাজে যেতে যেতে একটা ক্লান্তি এসে যায়। আসলে একটানা অনেকটা পথ বাইক চালিয়ে যেতে খুব একটা বোরিং লাগে। আবার মাঝে মাঝে তো আমি গলা ছেড়ে গান গাইতে গাইতে কাজে যাই।


আসলে এই চলন্ত রাস্তায় জোরে গান গাওয়ার মজাটাই আলাদা। মনে হয় যেন আমি আবার সেই ছয় বছরের বাচ্চায় পরিণত হয়েছি। যাই হোক যথা টাইম অনুযায়ী আমি ট্রেন স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। যেহেতু ঘরের থেকে বের হওয়ার আগে আমি ট্রেনের টাইমটা আগে দেখে নিই। যাই হোক সময় মত আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। আসলে এই অফিস টাইমে ট্রেনে প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকে। তাই আমি সাধারণত ট্রেনের মাঝামাঝি দিকে ওঠার চেষ্টা করি। কিছুক্ষণ পর স্টেশনের ট্রেন যখন এসে পৌঁছালো তখন আমি তাড়াহুড়ো করে ট্রেনের ভিতর ঢুকে গেলাম। আসলে গেটের কাছে প্রচুর লোক থাকায় আমি একটু ভিতরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। ভিতরে গিয়ে একটা ফাঁকা জায়গা দেখে সেখানে দাঁড়িয়ে রইলাম। তখন আমার পাশে কয়েকজন অফিসে যাওয়া যাত্রী মিলে অনেক আড্ডা দিচ্ছিল এবং হাসাহাসি করছিল।


যাইহোক কিছুক্ষণ পর ওইসব লোকেদের মধ্য দিয়ে একজন বয়স্ক লোক জোরের গলায় গান গাইতে শুরু করল। আমার কয়েক জন লোক ট্রেনের জানালায় আবার কেউ ট্রেনের দরজায় জোরে জোরে বাজাতে শুরু করলো। আসলে ট্রেনের ভিতরে একটা আলাদা রকমের আনন্দ ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আসলে সবাই মিলে এত সুন্দর আনন্দ করছে এবং সেই আনন্দের ভিতর মানুষের বয়সের কোন পার্থক্য সত্যি বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এই লোকগুলো সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে এবং পুনরায় যখন সবাই মিলে একসাথে বাড়ি ফেরে তখন হয়তোবা তারা একই রকম গান গাইতে গাইতে এবং মজা করতে করতে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। আসলে আমার মনে হয় যে এই সব লোকেদের এই সময়টুকুতে একটু আনন্দ উপভোগ করে। আর এই লোকগুলো তাদের জীবনটার এই আনন্দের সময়টুকুতে সত্যিই তারা এই পৃথিবী থেকে যেন হারিয়ে যায়। জিনিসটি দেখে আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছিল।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।