New to Nutbox?

অদম্য রবিনের সংগ্রামের গল্প (দ্বিতীয় পর্ব)

1 comment

darklights
76
7 days agoSteemit2 min read

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা প্র্যাকটিস করতো। আর বিকেলে স্কুল শেষে আবার মাঠে ফিরে যেত। কিন্তু পরিবারের দারিদ্র্য ও অসুবিধা তাকে প্রতিনিয়ত ধাক্কা দিচ্ছিলো। কারণ ক্রিকেট একটা ব্যয়বহুল খেলা। ক্রিকেট খেলার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার টাকা তার ছিলো না। পুরোনো ক্ষয়িষ্ণু সব সরঞ্জাম নিয়ে খেলতে হতো। গ্রামের অনেকে বিদ্রূপ করত, “এভাবে খেললে কবে তুমি বড় প্লেয়ার হবে?” তবে রবিনের ইচ্ছাশক্তি তাকে থামতে দেয়নি। সে জানতো সাফল্যের পথটা সহজ হবে না।

1000002218.png

সে শত বাধা বিপত্তিসত্ত্বেও একদিনের জন্যও মাঠে যাওয়া বন্ধ করেনা। এমনকি মেঘলা দিনেও যখন মাঠ ফাঁকা থাকতো রবিন তখনও মাঠে যেতো। একদিন তাকে কঠোর পরিশ্রম করা দেখলো বাবলু স্যার, “তিনি রবিনকে বললেন এমন মনোভাব থাকলে তুমি অনেক দূর যাবে,” বলে প্রশংসা করলেন। হঠাৎ একদিন রবিনের জীবনে একটি বড় সুযোগ আসে। জেলা পর্যায়ের টিমে একজন খেলোয়াড়ের জায়গা খালি হয় আর রবিনের কোচ তার নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় এক জায়গায়—রবিনের পোশাক ও জুতা একেবারেই খেলার অনুপযুক্ত ছিলো।

সে নিজেই জানতো এই অবস্থায় খেলতে নামলে সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে। রবিনের মনের ভেতর একটা দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সে কি খেলতে যাবে না? ঠিক তখন তার বাবা তাকে ডেকে বলেন, “ছেলের স্বপ্নে বাধা দিলে পিতার জীবন বৃথা। আমি হয়তো ক্রিকেটের গুরুত্ব বুঝি না, কিন্তু তোমার এই লড়াইয়ের মূল্য বুঝি। আমি তোমার পাশে আছি।” বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে রবিন একটি ভালো ব্যাট ও নতুন জুতা কিনতে সক্ষম হয়। রবিন খেলার দিন মাঠে নামে। সেই দিন সে খেললো জীবনের সেরা ইনিংস। তার ব্যাট থেকে বেরোল একের পর এক রান, দর্শকদের চিৎকারে মাঠ কাঁপছিল। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Comments

Sort byBest