মনের বয়স যেন বাড়ে না
0 comments
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে মনের বয়স সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
এই পৃথিবীতে মানুষ জন্মগ্রহণের পর থেকে তার বয়স আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। কোন মানুষের বয়স কখনো স্থির থাকে না। কিন্তু আমার মনে হয় যে শরীরের বয়স বাড়লেও মনের বয়স কখনো বাড়ানো উচিত নয়। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার মনের বয়স বেড়ে চলেছে তাহলে আপনি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়বেন। আসলে এই পৃথিবীটা বড়ই কঠিন। কেননা এই কঠিন পৃথিবীতে আপনাকে সব কিছুর মাঝে কঠোর পরিশ্রম করে বেড়ে উঠতে হবে। আর আপনি যদি মনে করেন যে আপনার দিন দিন বয়স হয়ে যাচ্ছে এবং আপনি দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন তাহলে কিন্তু আপনি কখনো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন না আপনার এই দুর্বল মন মানসিকতা নিয়ে। কেননা অনেক মানুষ রয়েছে তাদের শারীরিক বয়স বৃদ্ধি পেলেও তাদের কাজের গতির কিন্তু কখনো কমেনি।
মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শারীরিক ক্ষমতা কমে যায়। আর এই শারীরিক ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে মানুষ আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে। আসলে মানুষ দুর্বল হয়ে গেলে মানুষের কর্ম ক্ষমতা লোভ পায় এবং মানুষ আস্তে আস্তে অকর্মণ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু এই পৃথিবীতে যাদের বয়স বাড়লেও মনের বয়স সব সময় মনে করে যে এখনো সেই যুবক বয়সের মতো রয়েছে তারা কিন্তু কখনোই থেমে থাকে না। আসলে যারা কর্মঠ লোক তারা কখনো এক মুহূর্তের জন্য কোথাও স্থির থাকে না। তারা সব সময় মনে করে যে জীবনটা যদি স্থির হয় তাহলে তাদের জীবনের কাজ করার ক্ষমতা সেখানেই থেমে যাবে। কিন্তু একটা বিষয় আমরা সবসময় খেয়াল করে দেখি যে এই পৃথিবীতে যারা কর্মঠ হলো তারা কিন্তু সব সময় বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করে।
আসলে মানুষ যদি কাজের ভিতরে ব্যস্ত থাকে তাহলে মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের মন মানসিকতা সবসময় ভালো থাকে। আর যারা সব সময় অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে তাদের মন মানসিকতা কখনোই ভালো হয় না। আপনি যদি তাদের সাথে ভালোভাবে কথা বলার চেষ্টা করেন তাহলে তারা আপনার ভালো কথাকে কখনোই ভালোভাবে নিতে পারবে না। আর এজন্য আমাদের সবসময় চিন্তাভাবনা এই থাকা উচিত যে কাজের ক্ষেত্রে বয়স কোন বিষয় নয়। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার দ্বারা সকল কাজ খুব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব তাহলে সেই কাজ কখনো থমকে যাবেনা আপনার বয়সের জন্য। এই পৃথিবীতে এখনো অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিরা রয়েছে তারা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করার জন্য এখনও প্রস্তুত রয়েছে।
আমার কাছে মনে হয় যে এই পৃথিবীতে যারা জ্ঞানী লোক তারা কখনো বসে থাকে না। কেননা তারা মনে করে যে তারা যদি তাদের জ্ঞানকে বিকশিত না করতে পারে তাহলে তারা বেঁচে থেকেও মৃত। আর এজন্য তারা সব সময় চেষ্টা করে যে কিভাবে নিজের মস্তিষ্ককে সচল রাখা যায় বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে। আরেকটা জিনিস আমরা সব সময় খেয়াল করি যে যারা যুবক বয়সে অযথা সময় নষ্ট করে বসে থাকে তারা কখনোই একটা সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। আর তাদের কাছে এই পৃথিবীর সকল কাজ গুলো অনেক বেশি কঠিন মনে হয়। আর এই জন্য আমার মনে হয় যে সব সময় মস্তিষ্ককে বিভিন্ন কাজের সচল রাখা। এভাবে আমরা একটা সুন্দর দেশ গঠন করতে পারি যেখানে কোন মানুষ অলস ভাবে তাদের সময় নষ্ট করবে না। আর সবাই হবে এই পৃথিবীতে কর্মঠ লোক।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Comments