New to Nutbox?

সততার পুরষ্কার ( ষষ্ঠ পর্ব)

0 comments

curious.mind
76
12 days agoSteemit3 min read

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তার ডিপার্টমেন্টের দুর্নীতি নিয়ে একটা টেলিভিশন চ্যানেল একটা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদন প্রচারের পরে এক সচিব সেখানে জানালো তাদের এই ডিপার্টমেন্টে শুদ্ধি অভিযান চালানো হবে। দুর্নীতিবাজ সমস্ত কর্মকর্তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে। আর সৎ কর্মকর্তা যারা আছে তাদেরকে প্রমোশন দিয়ে বড় দায়িত্ব দেয়া হবে। রাশেদ এই কথাগুলো শুনে নির্বিকার হয়ে বসে রইলো। কারণ সে জানে এই ধরনের কথা মাঝে মাঝেই বলা হয়। কিন্তু কখনোই বাস্তবায়ন হয় না। কারণ এই দুর্নীতিবাজরা তাদের দুর্নীতির একটা অংশ উপরের লেভেলের কর্মকর্তাদের সাথে শেয়ার করে। যার ফলে দু'চার দিন পরে সবাই সবকিছু ভুলে যায়। পরদিন রাশেদ অফিসে বসে নিবিষ্ট মনে কাজ করছিলো। হঠাৎ করে দেখতে পায় অফিসে একবারে বেশ কিছু লোক ঢুকলো।

1000001426.png

রাশেদ প্রথমে বুঝতে পারেনি অফিসে কারা এসেছে। পরবর্তীতে একজন পিয়নের কাছ থেকে জানতে পারলো যে লোকগুলো ঢুকেছে তাদের ভেতর কিছু রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের লোক। আর কিছু রয়েছে তাদের ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। কিছুক্ষণের ভেতরেই রাশেদের বসের রুমে রাশেদের ডাক পড়লো। রাশেদ সেখানে গিয়ে দেখে তার বস সহ অফিসের আরো দুই তিন জন যারা অতিরিক্ত দুর্নীতিবাজ ছিলো তাদেরকে এক পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। রাশেদ সেখানে প্রবেশ করতেই এক ভদ্রলোক হাস্যজ্জল মুখে এগিয়ে এসে রাশেদকে অভিনন্দন জানালো। সেই ভদ্রলোক বললো এখন থেকে আপনি এই অফিসের বস। আপনার সততার কথা আমরা সবই জানি। আমরা আপনার মত সৎ লোকই খুঁজছিলাম।

ডিপার্টমেন্টের সমস্ত দুর্নীতিবাজ লোকের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্ট থেকে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর যারা সৎ ছিলো তাদেরকে প্রমোশন দেয়া হচ্ছে। সেই লিস্টে আপনার নামও ছিলো। এই কথা বলে তারা রাশেদের অফিসের সেই দুর্নীতিবাজ লোকদেরকে নিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে চলে গেলো। রাশেদের কাছে সবকিছু স্বপ্নের মত মনে হচ্ছিলো। পরবর্তী দিন রাশেদ তার প্রমোশনের চিঠিটা হাতে পেলো। প্রমোশন পাওয়ার সাথে রাশেদের যে শুধু বেতন বাড়লো তা নয়। সেই সাথে সে অফিসে যাতায়াতের জন্য গাড়িও পেলো। আবার থাকার জন্য বাড়ি ও পেলো। হঠাৎ করে এই উন্নতিতে রাশেদ কি করবে সে ভেবে পেলো না। প্রথম দিন রাশেদ বাড়িতে ফিরে তার স্ত্রীর সাথে এই ব্যাপারটা নিয়ে কোনো কথাই বলে না। কারন সে নিজেও তখন পুরোপুরি বিশ্বাস করে উঠতে পারেনি। রাশেদ চিন্তা করেছে যদি এগুলো সঠিক না হয় পরবর্তীতে স্ত্রীর কাছে শুধু শুধু লজ্জা পেতে হবে। কিন্তু পরদিন যখন প্রমোশনে চিঠিটা হাতে পেলো তখন রাশেদ বাসায় গিয়ে তার স্ত্রীকে তার প্রমোশনের কথা বলতেই তার স্ত্রীও অনেক খুশি হলো। এভাবেই রাশেদ তার সততার পুরস্কার পেলো। (সমাপ্ত)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Comments

Sort byBest