বিয়ের প্রস্তুতি..
8 comments
হ্যালো বন্ধুরা
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশর গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
বিয়ের মাধ্যমেই নর নারীর যৌথ জীবনের সমাজ স্বীকৃত যাত্রার শুরু হয়। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিয়ের গুরুত্ব দুই এক কথায় বলে শেষ করার মতো নয়। বিয়ে সবার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়।আজ থেকে তিন বছর আগে তিথী রানীর বিয়ে খুবই ধুমধামের সহিত হয়েছিলো তারপর আমাদের বাড়িতে অনেক দিন আর বড় ধরণের কোনো অনুষ্ঠান হয়নি।তিন বছর পর বিয়ের আনন্দ অনুষ্ঠান হতে চলছে তাই আমরা সবাই অনেক আগ্রহী এবং আনন্দিত।
মূলত বিয়েটা হচ্ছে @tithyrani এর বড় ভাই সুজয় কুমার বকসীর ও আমার কাকাতো ছোট ভাই।সুজয় একজন ব্যাংক কর্মকর্তা যার সাথে বিয়ে হচ্ছে চৈতী ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।দুজনের অনেকদিন আগে থেকেই পরিচয় ছিলো তারপর পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।আমার বড় কাকা কাকিমা অন্য রকমের মানুষ তারা নিজের ছেলে-মেয়ের ভালোর জন্য সবকিছু করতে পারেন। ছেলে পছন্দ করেছেন তারা আর কোনো দিকে তাকাননি এক বাক্যে রাজি হয়ে গিয়েছেন। মেয়ের বাড়ি ঘর দুয়ার মেয়ের বাবার কি আছে না আছে তারা একবারও দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি।মেয়ে পক্ষকে ডেকেছিলেন মেয়ে পক্ষ আমাদের বাড়িতে এসে আমার ভাইকে আশীর্বাদ করে গেছেন। এই পর্যন্তই বিয়ের কথাবার্তা কোনো প্রকার দেনাপাওনা নিয়ে আলাপআলোচনা করেননি এক কথায় তারা শুধু ছেলের বউ আনবেন।
মেয়েদের পড়াশোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় আমি বাবার বাড়িতে আসিনি ভেবেছি পরীক্ষা শেষ হলে তবেই বাবার বাড়িতে যাবো।তার মধ্যেই ছোট ভাইয়ের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে যায়।বিয়ের তারিখ অনুযায়ী আসতে হবে সেজন্য আমাকে পরীক্ষার পর ও এক মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে।যদি আগে আসি তাহলে বিয়ের সময় আসাটা মুশকিল হয়ে যাবে।সে জন্য অপেক্ষা করে বিয়ের দু দিন আগে বাবার বাড়িতে এসেছি।এক বছর পর বাবার বাড়িতে এসে চারদিকের পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লাগছিলো।আমরা যে যেখানেই যতো শান্তিতেই থাকি না কেনো নিজের জন্মস্থান নিজের ছোট থেকে বড় হওয়া সেই স্থানের অন্যরকম একটা অনুভূতি থাকে এই শান্তি আর কোথাও পাওয়া যায় না।
বাড়িতে পা রাখার সাথে সাথেই কেমন যেনো একটা বিয়ে বিয়ে ভাব মনে হচ্ছিলো চারদিকে।আমার চেয়ে বাচ্চারা তো আরো বেশি খুশি হয়েছিলো ওরা এমনিতেই মামা বাড়িতে আসতে বেশি পছন্দ করে,তার মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান ছোট ছোট বাচ্চা আত্মীয়-স্বজন দিয়ে বাড়ি ভরা তাই ওদের খুশির কোনো সীমা নেই।অনেকদিন পর বাড়িতে এসে সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়ার কি যে আনন্দ তা বলে প্রকাশ করা যাবে না।আমার বাবা কাকারা চার ভাই তাদের মধ্যে অনেক আন্তরিকতা আমরা ছোট থেকে বড় হয়েছি কোনোদিন দেখিনি আমার বাবা কাকারা কখনো মুখে মুখে তর্ক করে বা ঝগড়া করে তাদের মধ্যে এতোই ভালোবাসা এবং মিল মহব্বত যা বর্তমান যুগে খুব কম দেখা যায়।
দেখতে দেখতে বিয়ের দিন চলে আসলো আগের দিন রাত্রে সবাই মিলে বিয়ের সব জিনিসপত্র দেখে গোছগাছ শুরু করা হলো।তার কারণ পরের দিন খুব সকালবেলা আমাদেরকে রওনা দিতে হবে মেয়ের বাড়ি নড়াইল জেলায়,আমাদের গাইবান্ধা জেলা থেকে নড়াইল পৌঁছাতে প্রায় বারো ঘণ্টা সময় লেগে যাবে।সেজন্য সকাল নয় টার মধ্যে আমাদেরকে রওনা দিতে হবে।কাকিমা বিয়ের কেনাকাটা সব বেনারস থেকে করে এনেছেন সেগুলো সবাই মিলে দেখে তিথি রানী গোছানোর কাজ করছিলো আমরা পাশে সবাই মিলে বসে ছিলাম।সবাই মিলে বসে অনেকদিন পর আড্ডা গল্প সময়টা বেশ ভালো কেটেছিলো।
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
Comments