বিশেষ একটি দিনের সুন্দর কিছু মুহূর্তের ফটোগ্রাফি।

bristychaki -

হ্যালো বন্ধুরা

সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।

আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি।আশাকরি আমার আজকের ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।

জীবনে সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত তৈরি করার জন্য প্রত্যেকের জীবনে বিশেষ স্মৃতি থাকা প্রয়োজন, যা আমাদের জীবনকে আরও স্পেশাল করে তুলবে। জীবনে কিছু সুন্দর দিনের মধুর স্মৃতি থাকে যাকে আঁকড়ে মানুষ সারা জীবন বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে পায়।জীবনের সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত গুলো স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়া প্রয়োজন।যা পরবর্তী সময়ে আমাদের সময় গুলোকে মনে করিয়ে দিতে পারে এবং সেই সুন্দর মুহূর্তে গুলো আমরা অনুভব করতে পারি এবং নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা পাই।

রামকৃষ্ণ মিশন হল একটি ধর্মীয় সংগঠন। এই সংগঠন রামকৃষ্ণ আন্দোলন বা বেদান্ত আন্দোলন নামক বিশ্বব্যাপী আধ্যাত্মিক আন্দোলনের প্রধান প্রবক্তা।[২] এটি একটি জনকল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ১৮৯৭ সালের ১ মে রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। মিশন স্বাস্থ্য পরিষেবা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণকার্য, গ্রামোন্নয়ন, আদিবাসী কল্যাণ, বুনিয়াদি ও উচ্চশিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণকরেছে। এটি শতাধিক সংঘবদ্ধ সন্ন্যাসী ও সহস্রাধিক গৃহস্থ শিষ্যের একটি যৌথ উদ্যোগ। রামকৃষ্ণ মিশন কর্মযোগের ভিত্তিতে কাজকর্ম চালায়।

রামকৃষ্ণমিশন
সংক্ষেপেআর.কে.এম.
নীতিবাক্যআত্মনো মোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ — "আত্মার মোক্ষ ও জগতের কল্যাণের নিমিত্ত" সংস্কৃত: आत्मनो मोक्षार्थं जगद्धिताय च
গঠিত১ মে ১৮৯৭; ১২৭ বছর আগে কলকাতা,ব্রিটিশ ভারত
প্রতিষ্ঠাতাস্বামী বিবেকানন্দ
ধরনধর্মীয় সংগঠন
আইনি অবস্থাপ্রতিষ্ঠান
উদ্দেশ্যশিক্ষাবিস্তার, মানবসেবা, ধর্মীয় গবেষণা, আধ্যাত্মিকতা ইত‍্যাদি
সদরদপ্তরবেলুড় মঠ, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
অবস্থানপ্রায় ২০০ শাখাকেন্দ্র
স্থানাঙ্ক২২.৩৭° উত্তর ৮৮.২১° পূর্ব
এলাকাগত সেবাবিশ্বব্যাপী
সংঘাধ্যক্ষস্বামী গৌতমানন্দ
সম্পৃক্ত সংগঠননব্য বেদান্ত

তথ্য সোর্স

আমার বাবার বাড়ির পরিবারের প্রায় সকল সদস্যই রামকৃষ্ণ মিশনের দীক্ষিত।তাই ছোটবেলা থেকেই রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতি আলাদা একটি ভালো লাগা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে।আমার এই ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে যদি কখনো দীক্ষা নেই তবে রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই নেবো।কিন্তু বিয়ের পর নাকি শশুর কুলের গুরুদেবের কাছ থেকে দীক্ষিত হতে হবে।সত্যি কথা বলতে আমার শ্বশুরবাড়ির গুরুদেব কে আমি কখনো চোখে দেখিনি তার চরণে শত কোটি প্রণাম জানাই।🙏🙏কিন্তু তার পরিবারের সদস্যদের দেখেছি মাঝেমধ্যে গ্রামে আসতো এবং সকল বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা দীক্ষা দিতো।এটা আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনি তাই আর আমার দীক্ষা নেওয়া হয়নি।আমি সবসময় মনে প্রানে চেয়েছি রামকৃষ্ণ মিশন থেকেই দীক্ষা নিবো।

বেশ কিছুদিন ধরে আমরা বগুড়া শহরে এসেছি,আসার পর খুব একটা ঘুরে বেড়ানো হয়নি।গত মাসের ১৮ তারিখে আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো।ভাবলাম বগুড়া রামকৃষ্ণ আশ্রমে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভোগ দিবো।আমার আগে থেকে চেনা ছিলো না তাই রাস্তা ভুল করে অন্য দিক দিয়ে যাওয়ার কারণে বেশ অনেকটা সময় লেগেছিলো।তারপর ওখানে গিয়ে পৌঁছে দেখি সকালে দুপুরের সেবা শেষ হয়ে গেছে।তাই কি আর করার ওখানকার পুরোহিত মাসের হাতে টাকা দিয়ে বললাম সন্ধ্যায় যেন আমার মায়ের নামে পূজার আয়োজন করা হয়।তারপর আমাদেরকে প্রসাদ খেতে দেওয়া হলো,প্রসাদ খাওয়া শেষে চা দেয়া হলো।খেয়েদেয়ে আমরা আশ্রমের চার দিকটা খুব ভালোভাবে ঘুরে দেখলাম।

প্রধান গেইট

রামকৃষ্ণ দেবের মন্দির

শয়নকক্ষ

বাদ্যযন্ত্র

উপহার 💗

মায়ের বাণী 🙏

সাধারণ দিনগুলোতে মানুষজন সচারাচর খুব একটা দেখা যায় না।কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে লোকজনের সমাগম অনেক বেশি হয়।বাকি দিনগুলো বেশ নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ।সবমিলিয়ে অসাধারণ একটি দিন উপভোগ করেছি।

সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।

পোস্টেরবিবরণ
ফটোগ্রাফিপোস্ট
ফটোগ্রাফার@bristychaki
ডিভাইসVivo Y50
লোকেশনগণ্ডগ্রাম,বগুড়া

VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy



আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।