কচু বাঁটা

bristychaki -

হ্যালো বন্ধুরা

সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।

আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আশাকরি আমার আজকের রেসিপি ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।

কচু খুবই পরিচিত একটি সবজি। এর পাতা শাক হিসেবেও খাওয়া হয়। গ্রামের বাড়ির আনাচকানাচে ও রাস্তার পাশে অনেক জায়গায় কচু জন্মে। তবে অনেক প্রজাতির কচু আছে, যা যত্নের সঙ্গে চাষ করা হয়ে থাকে। এ ধরনের চাষ করা কচুই আমরা নানা ধরনের রান্নায় ব্যবহার করে থাকি।বনে জঙ্গলে যেসব কচু আপনা আপনি জন্মায় সেগুলকে সাধারণত বুনো কচু বলা হয়। কচুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। কচুতে থাকা আয়রন, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।কচুশাক শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি খেতেও অনেক ভালো লাগে।আজ আমি আনাজি কচুর পাতা বাঁটা করেছি,এটা খেতে অসম্ভব রকমের সুস্বাদু হয়েছিলো তাই এই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারছি না।সাধারণ কচু খেতে যে এতোটা সুস্বাদু হবে তা আমি ধারণাও করতে পারিনি। আশাকরি রেসিপিটি আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে।

চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক

১.কচুপাতা
২.পেঁয়াজ
৩.রসুন
৪.কাঁচামরিচ
৫.কালোজিরা
৫.সরিষার তেল
৬.লবণ

প্রথম ধাপ

কচু পাতাগুলো কেটে ধুয়ে একটা কড়াইয়ে দিয়ে, সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।

দ্বিতীয় ধাপ

কড়াইয়ে পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে পেঁয়াজ রসুন ও কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা ভেজে নিয়ে তারমধ্যে কালোজিরা দিয়েছি।

তৃতীয় ধাপ

কালোজিরা দেওয়ার পর সবগুলো উপকরণ খুব ভালোভাবে লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।

চতুর্থ ধাপ

এবার পরিমাণমতো সরিষার তেল দিয়ে সিদ্ধ কচুগুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।তারপর অনেকক্ষণ ধরে নেড়েচেড়ে কচুগুলো ভালো করে ভেজে নিয়েছি।

পঞ্চম ধাপ

এবার ভেজে রাখা পেঁয়াজ রসুন গুলো শিলপাটায় বেঁটে নিয়েছি।

ষষ্ঠ ধাপ

এবার ভেজে রাখা কচুগুলো বেঁটে নিয়েছি।তারপর পেঁয়াজ রসুন বাটা গুলোর মধ্যে মিশে নিয়ে আবার সবগুলো একসাথে ভালো করে বেঁটে নিয়েছি।

সপ্তম ধাপ

এবার পরিমাণ মতো কাঁচা সরিষার তেল স্বাদমতো লবণ দিয়ে হাতের সাহায্যে মেখে নিয়েছি। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল মজাদার কচু বাঁটা রেসিপি টি।

পরিবেশন

কচু বাঁটার উপরে লেবুর স্লাইস কাঁচা মরিচ ও সরিষার তেল দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।এখন গরম ভাত দিয়ে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত মজাদার কচু বাঁটা।

সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে এখানেই শেষ করছি।

VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy



আমি অতসী চাকী (বৃষ্টি) । নতুন নতুন রেসিপি বানিয়ে সবাইকে খাওয়াতে আমার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে। আমি "ভাল কাজের, ভাল ফল কথাটাতে" মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং মেনে চলার চেষ্টা করি।