২০ বছর পর পদ্মরাগ ট্রেনে....পর্ব-১
5 comments
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি,সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।আশাকরি আমার আজকের ব্লগ টি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাদের দেশে ট্রেন একটি প্রচলিত যানবাহন, তাই অনেকে ট্রেনে চলতে পছন্দ করেন কারণ ট্রেনে ছড়ে কোথাও যেতে অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা যায় রাস্তার মতো যানজট এর ঝুটঝামেলা তাই ট্রেনের জার্নিতে ক্লান্তি অনুভব কম হয়ে থাকে।আমার ট্রেন জার্নি খুবই ভালো লাগে আমার মেয়েদের জন্যও ট্রেন জার্নিটা অনেক স্বস্তির ওরা বাসে একদম উঠতে পারে না বাসে উঠলেই ওদের মাথা ঘোরায় এবং সেইসাথে অসংখ্য বার বমি করে।আগে যখন ঢাকা থেকে যাতায়াত করতাম তখন তো একেক জন ১৫-২০ বার বমি করতো।শেষে এসে মনে হয় অজ্ঞান হয়ে যাবে এরকম ভয়ংকর অবস্থা হতো।তারপর থেকে বেশিরভাগ সময় ট্রেনেই যাতায়াত করতাম।
আমরা ছোটবেলা থেকে খুব একটা মামার বাড়ি গেছি বলে মনে পড়ে না।তার কারণ আমার মা নিজেই তার বাবার বাড়িতে খুবই কম যেতো সেকারণে আমাদেরও মামার বাড়ি যাওয়ার খুব একটা প্রচলন ছিলো না।আমাদের বাৎসরিক পরীক্ষা শেষ হলে বেশিরভাগ সময় আমার বড় পিসির বাড়িতে যাওয়া হতো।আমার পিসির চার মেয়ে ছোট দুই মেয়ে আমার থেকে বয়সে কিছুটা বড় কিন্তু আমাদের তিনজনের খুবই ভালো সম্পর্ক ছিলো আমরা বোনের চেয়ে বান্ধবী বেশি ছিলাম তাই একটু ছুটি পেলেই পিসির বাড়িতে যাওয়ার জন্য বেশি ব্যস্ত হয়ে যেতাম।
আমরা ছোটবেলায় যখন পিসির বাড়িতে যাওয়া সময় খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে আমাদের স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষা করতাম কখন ট্রেন আসবে!কখনো কখনো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ট্রেন আসতো আবার কখনো কখনো একটু বেশি সময় লেগে যেতো।স্টেশনে যখন ট্রেন এসে দাঁড়াতো তখন লোকজনের ভিড়ে ট্রেনে উঠা এবং গন্তব্যে গিয়ে নামাটাই একটু কষ্টকর মনে হতো কিন্তু বাকি সময় গুলো খুবই ভালো লাগতো।ট্রেনের জানালা দিয়ে প্রকৃতি দেখা নতুন নতুন জায়গা দেখা ট্রেনে ঝালমুড়ি বাদাম খাওয়া সবকিছুই ছিলো অনেক ভালো লাগার মতো বিষয় প্রতিটি মুহূর্ত অনেক উপভোগ করেছি।
আজ প্রায় ২০ বছর পর আবার সেই পদ্মরাগ ট্রেনে বাড়ি আসার অনুভুতি টা ছিলো অন্যরকমের।ঢাকা থেকে যখন যাতায়াত করতাম তখন ইন্টারসিটি ট্রেনে করে যাতায়াত করতাম তাই বিয়ের পর আর কখনোই পদ্মরাগ ট্রেনে চড়া হয়নি।এবার অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম যদি বাড়িতে যাই তাহলে ট্রেনে করেই যাবো।আর তাই সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল রাতেই আমার এক আত্মীয় থাকেন বগুড়ায় তাকে বলে রেখেছিলাম যে আমাকে যেনো সকালে স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠিয়ে দেন।আমি বগুড়ার স্টেশনে কখনো যাইনি আর অনেক বছর ট্রেনে যাতায়াত করা হয় না বলে একটু ভয় লাগছিলো তাই একা সাহস করে উঠতে পারছিলাম না।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করে এখানেই শেষ করছি।
Comments