মহেশখালীতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।পর্ব-১
4 comments
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কক্সবাজার গিয়ে সেখান থেকে আবার মহেশখালীতে যাওয়া এবং ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তগুলো। আসলে প্রথমবার যখন কক্সবাজার গিয়েছিলাম তখন একবার মহেশখালী গিয়েছিলাম। সেখানে যদিও দুপুরের দিকে গিয়ে বিকেল হয়ে গিয়েছিল তাই সেদিন আর খুব বেশি সময় ধরে ঘুরাঘুরি করতে পারিনি। তাই ভাবলাম এইবার গিয়ে সকাল সকাল মহেশখালী যাব এবং সবাই মিলে বেশ আনন্দ করবো।
যাইহোক যতই সকাল সকাল বলি না কেন সেই বের হতে হতে ৯:০০ টা বেজে গিয়েছিল। তারপর সেখান থেকে আমরা নাস্তা করার জন্য চলে গেলাম। নাস্তা করার পরে চলে গেলাম মহেশখালীর যাওয়ার প্রথম ঘাটে। আমরা সবাই চলে গেলাম লঞ্চঘাটে যেখান থেকে মহেশখালির ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। প্রথমেই আমরা সেখান থেকে টিকিট কেটে নিলাম। যারা দেশীয় পর্যটক তাদের কাছ থেকে জন প্রতি ২০ টাকা করে নিয়েছিল। যেহেতু আমরা চারজন ছিলাম তাই ৮০ টাকা নিয়েছিল। নিভৃতের কোন টিকিট লাগেনি।
টিকেট নিয়ে আমরা ঘাটেরউদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এদিকে ব্রিজের উপর হাঁটতে একটু ভয় করছিল। যদি সাইড দিয়ে নিচে পড়ে যাই, হাহাহা। যাইহোক নিভৃত তার চাচ্চুর হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিল। খুব আনন্দেই ছিল সে। যদিও অনেক রোদ ছিল সকালে। চেয়েছিলাম আরও আগেই যেতে কিন্তু আমরা যেতে যেতে অনেকটা বেলা হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক সেখানে গিয়ে বেশ অনেকক্ষণ যাবত দাড়াতে হয়েছিল। কারণ বোটগুলো স্থানীয় লোকেরা উঠেই পূরণ হয়ে যাচ্ছিল। পর্যটকদের জন্য কোন বোট পাওয়া যাচ্ছিল না।
অনেক্ষণ পর্যন্ত সেখানে দাঁড়িয়ে অবস্থান করছিলাম।আশেপাশে অনেকজন মানুষ। পর্যটকের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন ছিল। যাই হোক বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর অবশেষে আমরা বোট পেয়েছিলাম।। আমরা চারজন একসাথে সেখানে উঠে গিয়েছিলাম। তার আগে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।বোটে সবাই ওঠার পর চালানো শুরু করে দিল। নিভৃত আওয়াজ শুনেই চুপটি করে বসে ছিল।ভাগ্যিস কোন কান্নাকাটি করেনি চুপচাপ বসে ছিল সে।
আসলে স্পিডবোটে ওঠার পর অনেক বেশি ভয় লাগছিল। কারণ এটা ঢেউ এর সাথে সাথে অনেক উপরে উঠে যায় আবার নিচে নামে। এই মুহূর্তটা অনেক বেশি উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। এদিকে নিভৃত তার আন্টির কোলে চুপটি মেরে বসে ছিল। আমি ফটোগ্রাফি করছিলাম। তবে ভয়ে ছিলাম যদি ধাক্কা লেগে কখনো মোবাইলটা পড়ে যায়। তাই খুব বেশি ফটোগ্রাফি করা হয়নি । ধীরে ধীরে প্রায় ১০ মিনিট মতো সময় লেগেছিল আমরা মহেশখালির মেইনঘাট পর্যন্ত পৌঁছাতে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করা হয়েছে এবং বেশ অনেক জায়গায় ঘুরাঘুরি করা হয়েছে। তবে আজকে আর সেগুলো শেয়ার করব না। আজকে এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আবারো হাজির হব নতুন পোস্টে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Comments