কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি decentralised storage নিয়ে আলোচনা করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
Image designed by AI
ডিসেন্ট্রালাইজড স্টোরেজ (Decentralized Storage) হলো এমন একটি ডেটা স্টোরেজ পদ্ধতি যেখানে ডেটা কোনো একক কেন্দ্রীয় সার্ভারে সংরক্ষণ না করে একাধিক ডিভাইস বা সার্ভারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।এটি ব্লকচেইন প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত একটি ধারণা যেখানে ডেটা সুরক্ষা, গোপনীয়তা এবং প্রাপ্যতা বৃদ্ধির জন্য ডেটাকে ভেঙে বিভিন্ন নোডে বিভক্ত করা হয়।
ডিসেন্ট্রালাইজড স্টোরেজ-এর মূল বৈশিষ্ট্য
বিকেন্দ্রীকরণ (Decentralization): ডেটা কোনো একক কেন্দ্রে না রেখে নেটওয়ার্কের অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন নোডে সংরক্ষণ করা হয়।
গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা: ডেটা এনক্রিপ্ট করে ভেঙে বিভিন্ন নোডে সংরক্ষণ করা হয় ফলে শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিরাই ডেটা পুনরুদ্ধার করতে পারে।
প্রতিস্থাপনযোগ্যতা (Redundancy): ডেটা একাধিক স্থানে সংরক্ষিত হয় ফলে কোনো একটি নোড ব্যর্থ হলেও ডেটা অ্যাক্সেস করা সম্ভব।
ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণ: ব্যবহারকারীরা তাদের ডেটার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পান কারণ এখানে কোনো মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান নেই।
উচ্চ কার্যক্ষমতা: দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক এবং পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটা দ্রুত অ্যাক্সেস করা যায়।
কীভাবে ডিসেন্ট্রালাইজড স্টোরেজ কাজ করে?
ডিসেন্ট্রালাইজড স্টোরেজ সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে:
ডেটা এনক্রিপশন: ব্যবহারকারীর ডেটা এনক্রিপ্ট করা হয় যাতে এটি সুরক্ষিত থাকে।
ডেটার বিভাজন: ডেটা ছোট ছোট অংশে ভেঙে বিভিন্ন নোডে পাঠানো হয়।
বন্টন: ডেটার অংশগুলো একটি পিয়ার-টু-পিয়ার (P2P) নেটওয়ার্কের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ডেটা পুনরুদ্ধার: ব্যবহারকারী যখন ডেটা অ্যাক্সেস করতে চান তখন সিস্টেম বিভিন্ন নোড থেকে ডেটা সংগ্রহ করে এটি ডিক্রিপ্ট করে।
ডিসেন্ট্রালাইজড স্টোরেজের সুবিধা
সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ: কোনো কেন্দ্রীয় সার্ভার না থাকায় সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি কম।
গোপনীয়তা বজায় রাখা: ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উচ্চ প্রাপ্যতা: নেটওয়ার্কের বিভিন্ন স্থানে ডেটা সংরক্ষিত থাকায় তা সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য।
খরচ সাশ্রয়ী: প্রথাগত ক্লাউড স্টোরেজ সিস্টেমের তুলনায় এটি অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
ডেটা কপির নিশ্চয়তা: একই ডেটা একাধিক নোডে সংরক্ষিত থাকায় ডেটা হারানোর ঝুঁকি কম।
ডিসেন্ট্রালাইজড স্টোরেজের চ্যালেঞ্জ
নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ: বড় ফাইলের জন্য বেশি ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন হতে পারে।
ডেটা পুনরুদ্ধারের সময়: কেন্দ্রীয় সার্ভারের তুলনায় ডেটা পুনরুদ্ধার করতে বেশি সময় লাগতে পারে।
নোডের স্থায়িত্ব: নোডগুলোর নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং।
বিধানগত সমস্যা: কিছু দেশে ডিসেন্ট্রালাইজড ডেটা স্টোরেজ নিয়মের বাইরে হতে পারে।
জনপ্রিয় ডিসেন্ট্রালাইজড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম
IPFS (InterPlanetary File System): ফাইল শেয়ারিংয়ের জন্য ব্যবহৃত একটি ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেম।
Storj: ডিস্ট্রিবিউটেড ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের তাদের অতিরিক্ত স্টোরেজ ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে দেয়।
Filecoin: ব্লকচেইন-ভিত্তিক একটি স্টোরেজ নেটওয়ার্ক যেখানে ব্যবহারকারীরা স্টোরেজ কেনা ও বিক্রি করতে পারেন।
Sia: এনক্রিপ্টেড ও ডিসেন্ট্রালাইজড ক্লাউড স্টোরেজ সিস্টেম।
ডিসেন্ট্রালাইজড স্টোরেজের এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে ডেটা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে,বিশেষত ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং ডেটার সুরক্ষার ক্ষেত্রে।