হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি পোস্ট লেখা শুরু করছি।
শীত ও শৈশবের গ্রামীণ জীবন এক মায়াবি অধ্যায়।বাংলার গ্রামীণ পরিবেশে শীতকাল যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার।শিশিরভেজা মাঠ, কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল,পাখিদের কুজন আর খেজুরের রসের মিষ্টি সুবাস শীতের শৈশবকে স্মৃতিময় করে তোলে।
শৈশবে গ্রামের শীত মানেই ছিল ভোরে ঘুম থেকে উঠে কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চারপাশ দেখা। গাছের পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু আর মাটিতে হালকা সাদা কুয়াশা যেন এক মায়াবি দুনিয়া তৈরি করত।খেজুর গাছ থেকে তাজা রস সংগ্রহের উত্তেজনা ছিল অভূতপূর্ব।দাদু-নানুর সঙ্গে মাঠে বসে আগুন পোহানো, হাতে-মুখে খেজুর রসের মিঠাস মেখে নেওয়া আর খোলস ছাড়ানো পিঠার গন্ধে ভরে থাকত শৈশবের শীতের সকাল।
স্কুলের ছুটি থাকলে বা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকালের পড়া সেরে গ্রামের শিশুরা দল বেঁধে খেলতে বের হতো।গরুর গাড়ি চালানো, পুকুরে মাছ ধরা, কিংবা লুকোচুরি খেলা—সবকিছুতেই শীতকাল যেন আলাদা আনন্দ নিয়ে আসত। সন্ধ্যাবেলায় ঘরে ফিরে মা-চাচিদের সঙ্গে তাপ পোহানোর মজাটাও ছিল অনন্য।
শীতের শৈশব মানেই ছিল পিঠা-পুলির উৎসব। মায়েদের হাতের চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা আর নারকেল-গুড় দিয়ে বানানো পুলি খাওয়ার স্মৃতি এখনো মনে করলেই আনন্দে মন ভরে যায়। শীতে নানা ধরনের পিঠা বানানো ছিল গ্রামের ঐতিহ্যের অংশ যা শৈশবকে আরও রঙিন করে তুলত।
গ্রামীণ শীত মানেই কৃষকদের শস্য কাটার উৎসব।শিশুরা তাদের সঙ্গে মাঠে গিয়ে ধান কাটা দেখতে বা মজার গল্প শুনে সময় কাটাত।শীতকালীন মেলা,যাত্রাপালা কিংবা সার্কাস ছিল শৈশবের বাড়তি আনন্দ।
গ্রামীণ জীবনের এই শীত ও শৈশব একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।প্রকৃতি, পরিবার, আর সংস্কৃতির এই মিশেল জীবনের এক অপূর্ব অধ্যায় হয়ে রয়ে যায় স্মৃতির কোষে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |