সাবমেরিনের মেকানিজম।।০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
8 comments
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে আমি সাবমেরিনের মেকানিজম নিয়ে একটু আলোচনা করবো।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সাবমেরিন এমন একটি জাহাজ যা পানির নীচে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।সাবমেরিনের মূল মেকানিজম হলো তার পানির নিচে ডুবে থাকা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আবার ভেসে উঠার ক্ষমতা।এর জন্য বিভিন্ন যান্ত্রিক ও প্রকৌশলগত সমাধান ব্যবহার করা হয়।সাবমেরিনের মেকানিজম নিচের বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে:
১. বয়েন্সি (Buoyancy) এবং ডুবানো/ভাসানো ব্যবস্থা:
সাবমেরিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল এর বয়েন্সি ট্যাংক।যখন সাবমেরিনকে ডুবানো হয় তখন বয়েন্সি ট্যাংকগুলোতে পানি ভর্তি করা হয় ফলে সাবমেরিনের ওজন বেড়ে যায় এবং এটি পানিতে ডুবে যায়।আবার ভাসতে হলে ওই ট্যাংকগুলো থেকে পানি বের করে বাতাস ভরে দেওয়া হয় এতে সাবমেরিন হালকা হয়ে যায় এবং পানির উপর ভেসে ওঠে।
২. প্রপালশন সিস্টেম (Propulsion System):
সাবমেরিন চলার জন্য মূলত দুই ধরনের প্রপালশন সিস্টেম ব্যবহার করে:
ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন:এ ধরনের সাবমেরিনে ডিজেল ইঞ্জিন বাতাসে চলে এবং এটি ব্যাটারি চার্জ করে।যখন সাবমেরিন পানির নিচে থাকে তখন ডিজেল ইঞ্জিন বন্ধ থাকে এবং ব্যাটারি থেকে ইলেকট্রিক মোটরের মাধ্যমে সাবমেরিন চলে।
নিউক্লিয়ার সাবমেরিন:এ ধরনের সাবমেরিনে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে ইঞ্জিন চালানো হয়।এই শক্তি প্রচুর পরিমাণে এবং দীর্ঘ সময় ধরে সাবমেরিনকে পানির নিচে থাকতে সহায়তা করে।
৩. ড্রাইভিং কন্ট্রোল (Diving Control):
সাবমেরিনের গতি ও ডুবানোর জন্য বিভিন্ন ফিনস এবং রাডার ব্যবহার করা হয়।সাবমেরিনে ফ্ল্যাপস থাকে যা সাবমেরিনকে উপরের দিকে বা নিচের দিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।এই ফ্ল্যাপগুলো দিয়ে সাবমেরিন ডুবায় এবং উত্থান করে।সাবমেরিনের নাভিগেশন পদ্ধতিও এই ফ্ল্যাপসের উপর নির্ভর করে।
৪. কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেম:
সাবমেরিনের ভেতরে থাকা নাবিকরা বিভিন্ন সেন্সর, রাডার, সোনার এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করে পানির নিচে থাকা অবস্থায়ও শত্রু, বস্তু, এবং অন্যান্য সাবমেরিনের অবস্থান জানতে পারে। SONAR (Sound Navigation and Ranging) প্রযুক্তি দিয়ে তারা পানির নিচের চারপাশের জিনিসপত্র সম্পর্কে ধারণা নেয়।
৫. জীবনধারণের ব্যবস্থা (Life Support System):
সাবমেরিনে দীর্ঘ সময় ধরে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে নির্দিষ্ট জীবনধারণের ব্যবস্থা থাকে।এর মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ, কার্বন ডাই অক্সাইড অপসারণ এবং পানি বিশুদ্ধকরণের ব্যবস্থা রয়েছে।দীর্ঘসময় পানির নিচে থাকা সাবমেরিনে মানুষ এই সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে টিকে থাকে।
৬. হাল (Hull) এবং ডিজাইন:
সাবমেরিনের বাইরের অংশে থাকা প্রেশার হাল খুব শক্তিশালী যাতে এটি পানির চাপ সহ্য করতে পারে।পানির গভীরে প্রচুর চাপ থাকে তাই সাবমেরিনের হাল বিশেষ ধরনের ধাতু এবং উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় যাতে এটি ভেঙে না পড়ে।
সাবমেরিনের কার্যক্রমগুলোকে সমন্বিত করে তোলা হয়েছে যেন এটি চুপচাপ এবং গভীরতর পানির নিচে চলতে পারে, শত্রুর নজর এড়িয়ে।
**
VOTE @bangla.witness as witness**
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Comments