আহিরিটোলা ঘাটে কিছুটা সময় ।।২৬জুলাই ২০২৪
9 comments
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।
কলকাতার দিকে ঘুরতে গেলেই মায়ের ঘাট বা আহিরেটোলা ঘাটে বেশিরভাগ সময় ঘুরতে যাওয়া হয়।
আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আহিরীটোলা ঘাট ।কিন্তু স্বাগতার কাছে ভালো লাগে বাগবাজার মায়ের ঘাট। যাইহোক দুটোই তো গঙ্গার ঘাট। হতেই পারে এ ক্ষেত্রে পছন্দ একটু আলাদা । আহিরিটোলা ঘাটে একটু সময় কাটাতে বা বসে গল্প করার জন্য যতটা স্পেস পাওয়া যায় ততটা মায়ের ঘাটে পাওয়া যায় না ।তাছাড়াও যেন মনে হয় খুব কাছ থেকে আমরা গঙ্গা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি এই আহিরি টোলা ঘাটে।
যতবারই যাওয়া হয় বিকেল বেলার দিকে যাওয়া হয় ।আর সেটা খুব কম সময়ের জন্য। কারণ সূর্যাস্ত দেখতে আমাদের দুজনেরই খুব ভালো লাগে ।শুধু সেই সময়টুকুই আমাদের থাকা প্রত্যেকবারই । ওই সময়টা চুপচাপ বসে সৌন্দর্যটাকে উপভোগ করি। সেরকমই কিছু ছবি ক্যামেরা বন্দি করে রাখা যেগুলো আমার ভীষণ পছন্দের ।
এই সময়টা যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিল। দেখতে ভীষণ ভালো লাগে যেন মনে হয় জলের সাথে সূর্যটা একেবারে মিশে যাচ্ছে ।
তার সাথে প্রায় সময় লঞ্চের যাতায়াত রয়েছে ।কারণ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য গঙ্গা নদীতে লঞ্চ রয়েছে। যেটা খুব কম সময়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া যায়। লঞ্চে একবারই আমার চড়া হয়েছে ।বেশ ভালো অভিজ্ঞতা ছিল ।
আর তারপর যখন দিনশেষে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা যখন এই গঙ্গার ঘাটে ডুব দিয়ে স্নান করে তখন যেন পুরানো সময়ের গ্রামের কথা মনে পড়ে যায়। এরকম কত সময় আমরা কাটিয়েছি সেই সবই এখন অতীত। এখন আর সেভাবে কিছুই করা হয় না ।এই মুহূর্তটা দেখলে পুরানো দিনগুলোতে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে ।
গঙ্গার ঘাটে এসেছি প্রিয় মানুষের সাথে আর তার সাথে ঘটি গরম খাব না সেটা তো হয় না, তাই গল্প করতে করতে আমরা ঘটি গরম আর চা নিয়েই থাকি বেশিরভাগ সময়। তেমনভাবেই এই ঘটি গরম নেওয়া।
আর সব মিলিয়ে এই অহিরীটোলা ঘাট আমার ভীষণ ভীষণ প্রিয় আর খুব পছন্দের জায়গা।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Comments