বাঙালির বাজারের পরিবর্তন ।।২০ মার্চ ২০২৩

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার পোস্ট লেখা শুরু করছি।আজকে অনেক দিন পর আবার জীবন সম্বন্ধে লিখতে চলেছি।জীবন ভীষণ অদ্ভুত।সময়ের সাথে জীবনের যে ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায় তা আমাদের প্রতিনিয়ত বিস্মিত করে।সময়কে বলা হয় সব কিছুর নিয়ন্তা।সময়কে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়ে থাকে।তাহলে আজকে আমি আলোচনা করতে চলেছি সময়ের সাথে বাঙালির বাজার করার বিবর্তন নিয়ে।আমরা মাছে ভাতে বাঙালি।সত্যি কথা বলতে ভাত ছাড়া আমাদের একদিন ও চলে না।ভাত আমাদের চাই চাই।এই মাছ ভাত খাওয়ার জন্য বাঙালির একটা অতি আবশ্যক কাজ হলো বাজার করা।বাজার করা বাঙালির একটা ঐতিহ্য।

শুধুমাত্র প্রয়োজনের খাতিরে বাঙালি বাজারে যায় না বরং একটা ভালো লাগা ও সময়ের উৎকৃষ্ট ব্যয়ের জন্য বাজারে যায়।সময়ের সাথে সাথে বাঙালির বাজার করার ধরন ও পদ্ধতি পাল্টে গেছে।আসুন তাহলে দেখি কতটা বিবর্তন হয়েছে।আমি নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচার বিশ্লেষণ থেকে লিখছি।কোনো মতামত থাকলে অবশ্যই বলবেন।যেকোন গঠনমূলক মন্তব্য সর্বদা স্বাগতম।

১৯৩০-১৯৫০ সালের থেকে শুরু করছি।তখন বাজারে সাথে এই সময়ের বাজারের আকাশ পাতাল তফাৎ।বাজারের ধারণা,দাম ও ক্রেতা বিক্রেতা সব কিছুরই ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যায়।দেখুন ১৯৫০ সালের দিকে চালের দাম ছিলো ৮০ পয়সা আর ডালের দাম ছিল ২ টাকা।কিন্তু আজকে এক কেজি চালের দাম সর্বনিম্ন ৩০-৩২ টাকা। বড় বড় জায়গা ইজারা নিয়ে সেখানে বাজার গড়ে উঠেছে।সেখানে সবজি ডিম মাছ মুদির সামগ্রী সব পাওয়া যায়।

কিন্তু আজকাল এই বাজার গুলো স্টেশন বাস স্ট্যান্ড ইত্যাদি লাগোয়া গড়ে ওঠেছে।সেখানে লোকে ভালোলাগার থেকে প্রয়োজন এর স্বার্থে বাজারে যায়।আর আজকাল বাজার গিয়ে মানুষ বেশি সময় ব্যয় করে না।কারণ মানুষের সময় খুব কমে গেছে।চাকরি ব্যবসা কাজ এর দিকে এতোটা ছুটতে হয় যে একটু আয়েস করার ও সময় কম পড়ে যায়।

সেই সাথে গড়ে ওঠেছে অনেক সুপার মল।আর সুপার মল এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি।কারণ সেখানে দরাদরি করার ঝামেলা নেই আর সব কিছু শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভাবে ডিসপ্লে করা থাকে।তাই সবাই যেতে আগ্রহ বোধ করেন।

আগে মানুষ বাজারে গিয়ে বাজার করার পাশাপাশি আড্ডা হুল্লোড় হতো কিন্তু আজকে দরাদরি করা ছাড়া বাজারে তেমন কোনো আলোচনা হয় না। যাই হোক সময়ের সাথে সাথে বাজার মানুষের শুধু প্রয়োজন এর জায়গা হয়ে গেছে।