হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আজ ১৬ই ডিসেম্বর। আমাদের বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয় এবং মহান বিজয় লাভ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। আপনারা সকলেই জানেন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার আপামর জনসাধারণকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল। একই সাথে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের প্রধান সহযোগী ছিল আমাদের দেশের কিছু উগ্রবাদী-জঙ্গি ও জিহাদি সংগঠন। আমাদের দেশের রাজাকার বাহিনীরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের প্রধান এজেন্ট হিসেবে কাজ করে 1971 সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের সূর্যসন্তানদের বীরত্বগাথা ভূমিকা এবং আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় বাংলাদেশ মহান বিজয় অর্জন করে।
তাই আমাদের বাঙালি জনজীবনে ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমরা বিজয় দিবসের দিনটি বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করার চেষ্টা করি। একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজকে আমাদের বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হয়। বিজয় দিবসের প্রথম কার্যাবলী হিসেবে প্রথমেই আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। তারপর উপস্থিত সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আজকের সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করার সময় আমার পুরো শরীরের পশমের গোড়া কেমন যেন শিহরিত হয়ে ফুলে উঠেছিল।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মনের মধ্যে স্বদেশ প্রেমের এক অন্যরকম অনুভূতি জেগে উঠেছিল। তাই পুরো শরীর শিহরিত হয়েছিল। একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের কথা স্মরণ করার সঙ্গে সঙ্গে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধায় মাথা এমনিতেই নত হয়ে গিয়েছিল। বিজয় দিবস উপলক্ষে আমরা ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আত্মদানকারী সকল শহীদদেরকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে, অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে এবং অত্যন্ত ভদ্রতার সাথে স্মরণ করেছিলাম। স্মরণ করেছিলাম তাদের অবদান। আসলে বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে সমস্ত সূর্য সন্তানেরা তাদের জীবনকে উৎসর্গ করেছে, রক্ত দিয়েছে সত্যিই আমরা তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ
এরপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রকারের স্মৃতিচারণ করেছিলেন আমাদের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক কর্মচারীদের মাঝে। আসলে আমরা চেষ্টা করি যে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা যেন মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারে এবং সঠিক তথ্য জেনে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে নিজেদের জীবনকে গড়তে পারে এবং স্বদেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত সহ বিশ্বাস যে সমস্ত রাষ্ট্র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছিল সেই সমস্ত সম্পর্কে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সাধারণ আলোচনা হয়। তারপর আলোচনা শেষে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট আমরা দুটি হাত তুলে মোনাজাত করেছিলাম। আর এভাবে আমরা আমাদের মহান বিজয় দিবস আজ উদযাপন করেছিলাম।