কবিতার মূলভাব হলো বাংলাদেশের বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও চেতনা। এটি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, শহীদদের আত্মত্যাগ, এবং স্বাধীনতার গৌরবময় অর্জনকে তুলে ধরে।
লাল সবুজের প্রান্তরে আজ
এক অন্যরকম সকাল।
নদীর জলে মিশে থাকা
শ্যামলিমার প্রতিফলনে
ভেসে ওঠে সেই দিনের কথা—
যেদিন বায়ান্নের শহীদদের
রক্তে ভেজা ভূমি থেকে
সত্তরের ঝড়ো হাওয়ায়
তিরিশ লাখ প্রাণের আর্তনাদ ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার আকাশ।
আজ বিজয় দিবস।
স্বাধীনতার গৌরবে ছেয়ে
থাকা এক চেতনার দিন।
পতাকার লাল অংশে জ্বলছে
মুক্তিযোদ্ধার রক্তের দীপ্তি,
সবুজ অংশে রচিত এক অনন্ত শান্তির বার্তা।
এ বিজয় এক প্রতিজ্ঞা—
শোষিতের মুক্তি, বঞ্চিতের অধিকার।
রক্ত ঝরেছে যেন এ মাটি কারো করতলে না বন্দী হয়,
এ গগন যেন কারো শাসনে না বাঁধা পড়ে।
আজ আমাদের দায়িত্ব—
শহীদের স্বপ্নের বাংলাকে এগিয়ে নেওয়া।
জন্মভূমির প্রতিটি ধূলিকণা, প্রতিটি নদীর ধারা,
এবং মানুষের হাসি যেন লাল-সবুজের ছায়ায় বেঁচে থাকে।
তাই বিজয়ের এই দিনে শপথ নিক সকলে—
স্বাধীনতার গল্প শুধু বইয়ের পাতায় নয়,
পথের ধুলায়, হৃদয়ের স্পন্দনে, কাজের প্রতিটি শিরায় শিরায় জ্বলবে।
তাহলেই হয়তো মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তি পাবে,
আমাদের বিজয়ের ইতিহাস পাবে চিরন্তন জীবন।
লাল-সবুজে রক্তের দাগ মুছে যাবে না,
মুছে যাবে না সেই ১৬ ডিসেম্বরের সূর্যোদয়।
এ বিজয়, এ অহংকার, এ আমাদের বাংলাদেশ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।