রেনডম ফটোগ্রাফি: নানা রকম ফুল ও গাছের স্থিরচিত্র।

ayaan001 -
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি <<ওয়া বারাকাতুহু/আদাব।

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

আজ ১১ নভেম্বর ২০২৪ ইং: ।

সোমবার

বাংলায় ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। বেশ কয়েকদিন তেমন ফটোগ্রাফি না পাওয়ার কারনে ফটোগ্রাফি পোস্ট করতে পারিনি। তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে সেই ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। কয়েকটি ফুল ও অন্যান্য গাছের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকের পোস্ট সাজিয়েছি। আজকে আমি সব কিছু বিস্তারিত ভাবে আপনাদের মাঝে তুলে ধরব আশা করছি আমার ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

১ নং

Location

আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে ফুলটি দেখতে পারছেন এই ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর। দেখতে অনেকটা জবা ফুলের মতো তবে এর মাঝের সুর নেই। পাঁচ থেকে ছয়টি পুরু মোটা পাপড়ি দিয়ে সাজানো ফুলটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর। গাছের পাতা গুলা গোলাকার ছোট ছোট আকারের। এই ফুলের তেমন একটা সুবাস নেই তবে কাছ থেকে ঘ্রান নিয়ে এর সুবাস ঠিক পাওয়া যায়। অনেক মিষ্টি সুবাস যা আপনার মনকে শান্ত করবেই।

২ নং

Location

গাছ গুলা লম্বা লম্বা সাথে সবুজ পাতা গুলাও লম্বা আকারের এবং গায়ে কাটা কাটা দাগ । ফুল গুলা দেখতে বেশ চমৎকার নীল রঙের ফুল পাপড়ি গুলা নরম। এই ফুলের নাম হলো পটপটি ফুল। যদিও এই ফুলের নাম আমি আগে কোন দিন শুনিনি। তবে যেদিন করেছিলাম ওই দিন নার্সারীর মালিকের কাছ থেকে জানতে পারলাম।

৩ নং

Location

এই ফুলের নাম হলো রঙ্গন ফুল। রঙ্গন গাছ গুলো সাধারণত গুল্ম বা ছোট গাছ হিসেবে দেখা যায় এবং এর পাতা গাঢ় সবুজ ও চকচকে হয়। ফুলগুলো ছোট ছোট অনেকগুলি পুষ্পমঞ্জরি আকারে ফুটে এবং একসঙ্গে কুসুমিত হয় বলে এটি দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগে। রঙ্গন ফুল শুধুমাত্র তার সৌন্দর্যের জন্য নয় বরং ঔষধি গুণাবলীর জন্যও পরিচিত। এটি কখনও কখনও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ফুল ও গাছের বিভিন্ন অংশে ব্যথানাশক, প্রদাহনাশক এবং জীবাণুনাশক গুণ রয়েছে বলে প্রাচীন ভারতে এই গাছটি চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হতো।

৪ নং

Location

আপনারা এখন আমার ফটোগ্রাফিত্র যে গাছটি দেখতে পারছেন এটার নাম আমি সঠিক বলতে পারবো না। তবে গাছটি দেখতে যে সুন্দর সেটা দেখলেই বোঝা যায়। এই গাছের ফুল গুলো অনেক সুন্দর বেগুনি রঙের ফুলের থোকা গুলা দেখতে বেশ চমৎকার।

৫ নং

Location

এখন যে গাছটি আপনি দেখতে পারছেন এই গাছটি হয়তো সবাই চিনে থাকবেন। এইটা হলো চায়না হদুল বাঁশ গাছ। আমি এই গাছটি প্রথম দেখলাম। এই গাছের ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে আমি বেশ কিছু ক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে দেখলাম। এত সুন্দর বলে বোঝানো যাবে না। আসলে যারা গাছ প্রেমি শুধু তারাই এই রুপের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবে। আমি নার্ছারির মালিককে জিজ্ঞাসা করলাম এই গাছ কত টাকা করে? আমার জবাবের উত্তরে সে বললো ৫০০ টাকা করে পিছ।

৬ নং

Location

আমার ফটোগ্রাফিতে ফুল গাছটি দেখতে পারছেন এটি হলো ইঞ্চি লতা। এই গাছটি সাধারণত ঝোপ জাতীয় হয়ে থাকে। ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য সাধারণত এই কাজগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই গাছ গুলার পাতা মোটা হয়ে থাকে। সূর্যের আলোতে এই গাছ গুলা খাদ্য গ্রহণ করলেও এই উদ্ভিদ ছায়াতেও বেঁচে থাকতে পারে।

পোস্টের ধরনরেনডম ফটোগ্রাফি
পোস্টকারীমোঃ আশিকুর রহমান।
ডিভাইসরেডমি নোট ০৮
লোকেশনপাবানা


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। বাইক নিয়ে ঘুরতে, খাওয়া দাওয়া আর ঘুমাতে বেশি পছন্দ করি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।