নাটক রিভিউ : কাজী বাড়ির পাজি জামাই।

ayaan001 -
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু /আদাব

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।


আজ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ইংঃ রোজ মঙ্গলবার ।


হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি.........

আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কাজী বাড়ির পাজি জামাই নাটক নিয়ে কথা বলবো। নাটকের পোস্টার দেখে বুঝতে পারলাম নাটক টা অনেক ভালো হবে। যেহেতু এখানে আখম হাসান অভিনয় করতে সেহেতু নাটকটি খারাপ হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। আমি ছোটবেলা থেকে আখম হাসানের নাটক দেখে আসছি। তার প্রতি নাটক খুবই হাসির ও শিক্ষানীয় হয়ে থাকে।

আমি বেশির ভাগই ঈগল টিমে নাটক রিভিউ করে থাকি। তবে আজকে এই নাটকটি রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারন অনেক দিন ধরেই আখম হাসানের নাটক দেখা হয় না আর রিভিউ ও করা হয়নি। তাই ভাবলাম আজ একটু ভিন্ন কিছু দেখে এবং আপনাদের মাঝে ভিন্ন ধরনের নাটক রিভিউ করার চেষ্টা করি।

নাটকের পোস্টার

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।

পোস্টের ধরননাটক রিভিউ।
নাটকের নামকাজী বাড়ির পাজি জামাই
পরিচালকএম আর আলী।
অভিনয়েআ খ ম হাসান, সিনি সিগ্ধা,শফিক খান দিলু ও শেলি আহসান ।
দৈর্ঘ৪৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড
মুক্তির সময়০৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।

নাটক শুরুতে দেখা যায় আখম হাসান বাজার সদাই করে শ্বশুর বাড়িতে এসে হাজির হয়। শ্বশুর বাড়ি আসার পর সে তার শশুর বাড়ির সবার সামনে অনেক ভাব নাই যে আমি খালি হাতে শ্বশুর বাড়িতে আসিনি। সবকিছু বাজার করে নিয়ে এসেছি। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সে বাজার থেকে সবকিছু বাকি করে নিয়ে এসেছে। এখন তার শ্বশুরবাড়িতে সবাই এসেছে বাকি টাকা নেওয়ার জন্য। এতসব দেখে আখম হাসানের শশুর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।

আখম হাসানের এই সব কাজ দেখে তার শালী তার সম্পর্কে নানা রকম কথা বলতে থাকে। এই সব কথা শোনার পর তার বড় বোন তাকে চড় মারে। নায়িকা তখন বলে তুই আমার স্বামী সম্পর্কে এসব বাজে কথা বলার কে। নায়িকা আখম হাসানকে অনেক ভালোবাসে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।

এদিকে আখম হাসানকে তার বউ কাঁচের গ্লাসে করে ঠান্ডা শরবত নিয়ে এসে তাকে দেয়। কিন্তু আখম হাসান বলে আমি বাদশা আমি কোনদিনও এই কাচের গ্লাসের শরবত খাবো না আমার জন্য কাসার গ্লাস নিয়ে আসো। পাশের ঘর থেকে তার শ্বশুরের কথা শুনে তার জন্য কাঁসার গ্লাসে করে ঠান্ডা শরবত নিয়ে আসে। এরপর আখোম হাসান বলে চলেন আব্বা বাজারের দিকে যাই। একথা শুনে তার শ্বশুর বলে আমি যাবো না তুমি যাও এই নাও টাকা।

টাকা পাওয়ার পর আখম হাসান বাজার থেকে চলে যায়। এভাবে আখম হাসান তার শ্বশুরবাড়িতে নানা রকম ঝামেলা তৈরি করে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।

এরপর একদিন আখম হাসান দেখতে পারে তার শালী একটা ছেলের সাথে কথা বলছে। এটা দেখে আ খ ম হাসান সেখানে যায় এবং তাদের দুজনকে ধরে ফেলে এরপর সেই ছেলেকে শাস্তি দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।

এদিকে আখম হাসান চিন্তা ভাবনা করে সে আর বাড়ি ফিরে যাবে না এখন থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকবে। যার কারণে সে বাড়িতে উকিল টাকে জমি ভাগের বিষয়ে তার শ্বশুরকে অবগত করতে। কিন্তু নায়িকা তার বাবার বাড়িতে থাকতে নারাজ। কিন্তু আখম হাসান নাছোড়বান্দা সে তার শ্বশুর শাশুড়িকে দেখাশোনা করবে আর শ্বশুর বাড়িতেই থাকবে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।

একদিন রাতে আবার আখম হাসান তার শালীর সাথে সেই ছেলেকে দেখতে পাই। আখম হাসান আবার তাকে ধরে ফেলে এবং তার গলার মধ্যে ধরে পেচিয়ে গাছের সাথে ঝুলাতে চেষ্টা করে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।

এদিকে আখো ম হাসান গ্রামের মোড়লের কাছে যাই জমি ভাগ করে দেওয়ার বিষয়টা তার শশুরকে জানার জন্য। শশুর যখন জানতে পারে তার জামাই এসব করে বেড়াচ্ছে তখন সে সিদ্ধান্ত নেয় তার মেয়েকে তালাক দিয়ে নেবে। এরপর নায়িকার বাবা নায়িকার কাছ থেকে একটি কাগজের সই নিতে যাই। কিন্তু নায়িকার মা এটা দেখে ফেলে সাথে সাথে নায়িকার হাত থেকে কাগজ কেড়ে নেয়। এরপর সেখানে আখম হাসান চলে আসে সে বলে আমিও আপনার মেয়ের সাথে সংসার করতে চায় না।

এরপর আখম হাসান বলে আমি কোন খুনির মেয়ের সাথে সংসার করবো না। এ কথা শোনার পর সবাই অনেক অবাক হয়ে যায় এরপর আখম হাসান সবকিছু খুলে বলে। নায়িকার বাবা তার ছোট ভাইকে বিষ খেয়ে মেরে ফেলেছিল এদিকে আখম হাসানের শ্বশুরের ছোট ভাই ছিল তার আপন ফুফুর জামাই। তার ফুফু মারা যাওয়ার আগে আখম হাসানকে সবকিছু জানিয়ে যায়। এসব কথা শোনার পর আখম হাসান শশুর বলে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার জন্য তুমি আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করো না স্বীকারোক্তি দিয়ে আসব। সাথে সাথে সেখানে পুলিশ হাজির হয়। সেখানে বিদ্যুৎ নামে সেই ছেলেটা উপস্থিত হয় যে আখম হাসানের শালীর সাথে প্রেম করছিল। আসলে সে একজন পুলিশের অফিসার ছিলো। এতদিন এই খুনের আসল রহস্য বের করার জন্য গোয়েন্দা সেজে ছিলো।

এরপর নাটকের সমাপ্ত ঘটে।


মন্তব্য

আমি আবার বলছি আখম হাসানের নাটক আমার কাছে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। আমি অনেক দিন থেকে আখম হাসানের নাটক দেখে আসছি। আমার মত হয়তো অনেকেই আখম হাসলে নাটক অনেক পছন্দ করে। কারণ সে অনেক ভালো অভিনয় করে থাকে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। । নাটকের রেটিং হিসেবে ০৯/১০ দিলাম।


নাটক দেখার লিংক।

Loading iframe


পোস্টের ধরননাটক রিভিউ।
ডিভাইসগ্যালাক্সি এ ১৫
লোকেশনপাবনা


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ যানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।