🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রিভিউ করবো। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর খেলাটি আজকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ম্যাচটি আমি সরাসরি দেখেছি ম্যাচটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বাংলাদেশ দল যখন জিতে যায় তখন বেশ ভালোই লাগে। আরে ভালো লাগাটা ভাগাভাগি করার জন্য আপনাদের মাঝে এই ম্যাচের রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি আমার এই রিভিউটা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে এবং এই ম্যাচ সম্পর্কে কিছুটা হলে ধারণা পাবেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ টসে জিতে যায় এবং তারা আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ব্যাট হাতে মাঠে নামে বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। কিন্তু দুই অফারের কেউই ঠিক মত রান করতে পারেনা ১০ বল খেলে ৩ রান করে আউট হয়ে যায় লিটন দাস। এরপর মাঠে যাবে আরেক ডান হাতে ব্যাটসম্যান কেন তানজিদ হাসান। ৪ বল খেলে ২ রান করে আউট হয়ে যায়।
মাঠে এসে কোন ব্যাটসম্যান তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারা খুবই ভালো বল করেছিল। যার কারনে পরপর তিনজন ব্যাটসম্যান ২০ রানের উপরে রান তুলতে পারেনি।
এরপর মাঠে নামে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি মিরাজ ও জাকের আলি। তারা দুইজনে এক এক করে রান সংগ্রহ করে। ১০ ওভারে বাংলাদেশ ৫২ রান সংগ্রহ করে মাত্র ৫ উইকেটের বিনিময়। মেহেদী মিরাজ ২৬ রান করে এবং জাকের আলী ২১ রান করেন। এরপর কেউই তেমন একটা রান করতে পারেনি।
ওভারে শেষের দিকে এসে বাংলাদেশে হয়ে হাল ধরে শামীম হোসেন। তিনি ১৭ বলে ৩৫ রান করেন যা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় রান। শামীম হোসেন ৩৫ রান করেই অপরাজিত থাকে। সব শেষে বাংলাদেশের সর্ব মোট রান ১২৯।
বাংলাদেশের দেওয়াই ১২৯ সালের টার্গেটে খেলতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার। তবে বাংলাদেশের মতো তাদেরও একই অবস্থা। কিং ও জনসন ৮ রান ও ১৪ এয়ান করে আউট হয়ে যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঘা বাঘা প্লেয়াররা বাংলাদেশের বলারদের কাছে কুপোকাত হয়ে যায়। ফ্লেচার ও নিকোলাসের মতো প্লেয়ার ০ রানে আউট হয়ে যায়। দশ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে মাত্র অল্প কিছু রান সংগ্রহ করে।
শেষের দিকে এসে দলকে জেতানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে চেস ও আকিল হোসেন। কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায় বাংলাদেশের বলার দের কাছে। চেস ৩৪ বলে করে ৩২ রান আর আকিল হোসেন করে ৩১ বলে ৩১ রান। কিন্তু এই রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। কারণ তাদের হাতে মাত্র একটি উইকেট ছিল। অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশের কাছে ২৭ রানে পরাজয় গ্রহন করে। আর এই ম্যাচের জয়ের মাধ্যমেই বাংলাদেশ সিরিজ জয় লাভ করে।
ম্যাচটি আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছে কারণ টি-টোয়েন্টি খেলা টি-টোয়েন্টির মতো না হলে দেখতে ভালো লাগে না। যদি বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের বল খেলতে পারতো তাহলে হয়তো বুঝতে পারতাম যে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ও বাংলাদেশের বোলারদের বল তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। যাইহোক বাংলাদেশ জয় লাভ করেছে এটাই অনেক। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন।
শ্রেণী | স্পোর্টস রিভিউ। |
---|---|
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
চ্যানেল | টি স্পোর্টস |
স্ক্রিনশট | ইউটিউব |
লোকেশন | পাবনা |