"ছোট ভাই দীপ্তকে নিয়ে একটু খাওয়া-দাওয়া"

aongkon -


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২২ শে ডিসেম্বর, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো


কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিদিন এখানে নতুন নতুন পোস্ট করা আর নতুন নতুন পোস্ট পড়ে কমেন্ট করতে ভীষণ ভালো লাগে। সত্যি বলতে আমার বাংলা ব্লগের যারা সদস্য আছে তারা ভাই এই কমিউনিটিতে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করে। কারণ এই কমিউনিটি টা ছোট্ট একটা পরিবারের মতো। যাইহোক কিছুদিন আগে সিলেটে পিসি মনির বাসায় গিয়েছিলাম বেড়াতে সেখানে গিয়ে ছোট ভাই দীপ্তকে নিয়ে পিউরিয়া সুইট অ্যান্ড ডেজার্ট বাফেটে গিয়েছিলাম। আমি এখন ভাইয়ের সাথে বসে পিউরিয়া সুইট অ্যান্ড ডেজার্ট বাফেটে খাওয়া-দাওয়ার সেই সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, কিছুদিন আগে আমি আমার পিসিমনির বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমি যখনই সিলেট সুনামগঞ্জে আমার পিসি মনির বাসায় যায় তখনই সেখানে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করি। এর কারণ হচ্ছে সেখানে আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আর ছোট বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমার ছোট ভাই দীপ্ত ক্লাস ওয়ানে পড়ে।

আমি পিসি মনির বাসায় যে, কয়দিন ছিলাম আমার ঘুম থেকে ওঠার আগেই ও ঘুম থেকে উঠে স্কুলে চলে যায়। ছোট ভাই দীপ্তর মডেল স্কুল আমার পিসিমণির বাসার সামনেই। প্রতিদিন পিসিমণি সকালে ওর স্কুলে দিয়ে আসে আবার নিয়ে আসে। এদিন সকালে পিসিমণি যখন দিয়ে এসেছিল তখন বলে দিয়েছিল যে, দুপুরে অঙ্কন দাদা যেনো আমাকে এসে নিয়ে যায়।

তারপর বাসায় এসে পিসিমণি আমাকে জানালো যে, ছোট ভাই দীপ্ত আমাকে আনতে যেতে বলেছে। এখন আমি বললাম যা আছে ঠিক আছে কয়টার দিকে যেতে হবে তাই বলো! পিসিমনি তখন বললো যে, ওর স্কুল বারোটার দিকে ছুটি হয় কয়েক মিনিট আগে গেলেই হবে। তারপর আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে ঠিক বারোটা বাজার কয়েক মিনিট আগে দীপ্তর মডেল স্কুলে গেলাম।

আমি দীপ্তর ক্লাসের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম ঠিক তখনই ওর স্কুল ছুটি হলো। ক্লাস থেকে বের হয়ে দৌড়ে এসেই আমাকে দাদা দাদা বলে জড়িয়ে ধরলো। আর আমাকে বলল যে, তুমি আমাকে নিতে এসেছ দাদা ! আমি তখন বললাম যে, তুমি আসতে বলেছিলে তাই এসেছি। তারপর স্কুল থেকে বের হয়ে বললাম যে, কি খাবে! এখন ভাই বলল যে, পিৎজা খাবে।

ওদের স্কুলের সামনে পিউরিয়া সুইট অ্যান্ড ডেজার্ট বাফেট ছিলো। তারপর ছোট ভাই দীপ্তকে নিয়ে পিউরিয়া সুইট অ্যান্ড ডেজার্ট বাফেটে গেলাম। একটা পিজ্জা আর চকলেট পেস্টি অর্ডার করলাম। স্কুল ছুটির পরে এই রেস্টুরেন্টে বেশ ভালোই ভীড় হয়। তাই আমাদেরকে একটু সময় বসে অপেক্ষা করতে বললো।

আমি আর ছোট ভাই দীপ্ত বসে বসে কিছু সময় গল্প করলাম। আমাদের খাবারগুলো দিতে একটু দেরি হওয়াতে ছোট ভাই দীপ্ত বারবার বলছিল যে, দাদা খাবার কখন দেবে! আমি তখন বললাম যে, একটু সময় অপেক্ষা করো খাবার চলে আসবে।

তারপর কয়েক মিনিট অপেক্ষা করতেই একটা পিজ্জা আর একটা চকলেট পেস্ট্রি আমাদের টেবিলে দিয়ে গেল। কোন মতো ভাইকে বোঝায়ে কয়েকটা ছবি তুলে রাখলাম। কারণ খাবারগুলো দেওয়ার সাথে সাথেই ছোট ভাই দীপ্ত খাওয়া শুরু করে দিয়েছিল। খাবার দেওয়ার পরে ওর সাথে যে, একটা ভালো করে সেলফি উঠবো সেই সুযোগ ছিল না। যাইহোক দুই ভাই একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারপর বাসায় ফিরলাম।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১ লা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট

প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy