হ্যালো বন্ধুরা, সবাইকে আমার আজকের পোষ্টের স্বাগতম, দেরি না করে আবারো ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে; প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ,আমি অনেক ভালো আছি। আজকের দিনটা আমার মোটামুটি ভাবে কেটে গেছে, চলুন আর দেরি না করে আজকের দিনের মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।।
আজকে সকালে তেমন একটা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারিনি, সারারাত চোখে দুই পাতা এক করতে পারলাম না। এক জায়গার বিছানা ছেড়ে অন্য জায়গায় এসেছি, তাই সারারাত তেমন একটা শান্তি মতন ঘুমোতে পারিনি। অবশেষে সকাল সকাল একটু ঘুম হলো তাই ঘুম থেকে উঠে আজকে একটু লেট হল।
ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে বসে থাকি,কিছুক্ষণ পর বেচিনের কিছু থালা-বাসন ধুয়ে নিলাম। এরপর আর কোন কাজ ছিল না সাহেব দোকানে গেলো সকালের নাস্তা আনতে। সকালে নাস্তা ভাজি পরোটা, আর হালুয়া পরোটা। ওগুলো দিয়ে বাসার সকলেই নাস্তা করি।
সকালের নাস্তা খাওয়ার থালাবাসন গুলো ধুয়ে রেখে, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর রান্নাঘরে চলে যাই। আজকে দুপুরে রান্না করলাম। লাল শাক, ডিম আলু, আর ডাল। রান্না গুলো করতে তেমন একটা সময় লাগেনি ; বারোটা চল্লিশের ভিতর রান্নাবান্না শেষ হয়ে গেল।
আজকে রান্না যে করলাম তেমন একটা রান্নায় মন দিয়ে রান্না করিনি। শরীরটা কেমন যেন মেঝ মেঝ করছে ভালো লাগছে না মানে শরীর নিয়ে কি,, বলবো বলল বুঝতে পারছি না।
রান্না শেষ হওয়ার পর ছেলেকে বাথরুমে নিয়ে হাত-পা ধুয়ে মাথায় পানি দিলাম। হঠাৎ করে কালকে সন্ধ্যা থেকে ছেলের গলাটা বয়ে গেছে,, কথা অন্যরকম ভাবে শোনা যায় তাই আর গোসল করাইনি।। ছেলেকে পরিপাটি করে রেখে তারপর আমি গোসল করে আসি, জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে আগে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে তারপর আমি খেলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। ঘুমাতে চেয়েছিলেন আর পারলাম না ছেলের কারনে, ও নিজে তো ঘুমালো না ; আর আমাকেও ঘুমাতে দেয়নি। এরপর আর কি করবো চোখ বুজে শুয়ে থাকি আর এদিকে ছেলে আমার পাশে বসে দুষ্টুমি করছে। কিছুক্ষণ বাদেই সাহেব দুপুরে খাবার খেতে আসলো। তাকে খাবার দিয়ে আমি ওযু করে আসরের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে আর কি করব ; আবার ফোন নিয়ে বসি। সারাক্ষণ শুয়ে বসে এবং বাসার ভিতরে হাঁটাচলা করে, রান্নাবান্না করে, এগুলোর ভিতর দিয়েই সময় কাটাতে হয়।
সন্ধ্যা হলো মাগরিবের আযান দিলে তারপর ওযু করতে যাবো। তারপর শুনি দরজায় কে যেন নক করছে দরজা খুলে দেখি ভাইয়ার মা মানে আন্টি এসেছে। আন্টির সাথে একটু দাঁড়িয়ে কথা বলে তারপর ওযু করে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে বসে দোয়া দরুদ পড়ি এমন কি ছেলেও আমার সঙ্গে ওর মতন করে নামাজ পড়ল এবং আমি যেরকম যেরকম করছি ঠিক ওরকমই করছে। আমি নামাজে পার্টিতে বসে দোয়া পড়লাম ছেলেও মুখ বিরবির করে কি বলছে ও নিজেই জানে।
কিছুক্ষণ বাদেই নামাজের পাটি থেকে উঠলাম তারপর চানাচুর মুড়ি বানিয়ে সবাই একসাথে বসে খেলাম। মুড়ি চানাচুর খেয়ে ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ পড়তে বসলাম। তারপর আমার পোস্ট আমি লিখে নিলাম। আমার পোস্ট লেখা হলে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। কারণ, আজকের বিকেলে ঘুমাই নি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পরল। এরপর আমি এশার নামাজ পড়ে ছেলের পাশে শুয়ে থাকি। যাক আজকের লেখা এ পর্যন্তই, আবার অন্য কোন এক নতুন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে।