Better Life With Steem || The Diary game || 26/3/2024

amekhan -

(Canva Edit)

তো বন্ধুরা আবার আপনাদের মাঝে চলে এসেছি কালকে আপনাদের মাঝে থাকতে পারিনি, কারণ আমার ওয়াইফাই তে সমস্যা হয়েছিল। অন্য লোক অন্য বাসায় ওয়াইফাই লাগাতে এসে আমাদের ওয়াইফাই তারটাই ছিঁড়ে ফেলেছে,, তবে সেটা আমরা পরে জানতে পারি এরপর ওয়াইফাই লোকদের ফোনদি তারপর তারা রাত্রেবেলা এসে ঠিক করে দিয়ে যায়।

ঠিক করে দিয়ে যাওয়ার পর কিছুক্ষণ ভালো চলেছিল তারপর আবার সমস্যা হলো। এরপর আবার সকালবেলা তাদের ফোন দি, এরপর তারা এসে আবার নতুন করে লাগিয়ে দিয়ে যায়। আপনারা হয়তো বলতে পারেন এই সমস্যাটা বলার কারণ কি? কারণ আমি বলেছি সাত দিনে সাতটা পোস্ট করার আমি চেষ্টা করি।যে সমস্যা কারণে গ্যাপ পরেছে সেটাই বলার চেষ্টা করছি আর কিছু না, যাইহোক এবার যাই আসল কথায়।

আজ সেহরি খেতে উঠেছিলাম রাত চারটার সময়,, উঠে হাতমুখ ধুয়ে খাবার ঘরে চলে গেলাম তারপর একসাথে মিলে সেহরি ভাত খেলাম। খাবার শেষ হওয়ার পরে ফয়েজরের আজানের অপেক্ষায় রইলাম, এরপর আজান শুনে ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। সেই ঘুম থেকে সকাল নয়টার সময় উঠি,, উঠে হাত মুখটা ধুয়ে কিছু কাজ করি যেমন থালা-বাসন ধোয়া ঘরটা ঝাড়ু দেওয়া ইত্যাদি কাজ করে।

এরপর ছেলেকে সকালের নাস্তা হিসেবে কেক খাওয়াতে বসি। সেতো কেক খাবেনা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বলে আম্মু চিপস এরকম ওর আব্বু তিন চার দিন সকাল বেলা চিপস এনে দিয়েছে। আজকে আর চিপস এনে দেয়নি এরকম প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিপস খেলে অসুবিধা হতে পারে, চিপসের জন্য কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে থেমে গেল। তারপর ও আব্বু যাওয়ার পথে আবার চিপস কিনে দিয়ে গেছিলো ছেলের কান্নাকাটি দেখে।

ছেলে চিপস পেয়ে খেতে লাগল আর এরপর আমি গোসল করে আসি। গোসল শেষ করে জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি তারপর দেখি তরকারি ওয়ালা এসেছে,আজকের তরকারি ওয়ালার কাছ থেকে শুধু কচুর লতি নিয়েছি,, অনেক দিন ধরেই তাকে কচুর লতি আনতে বলে কিন্তু সে আনে না আজকে এনেছে তাও ১ কেজি কচুর লতি ৮০ টাকা।

এরপর আমি রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে ভাতটা চুলায় বসিয়ে দিয়ে কচুর লতি কাটতে বসি। আজকে রান্না করেছি মুসুরির ডাল দিয়ে কচুর লতি, আর চিংড়ি মাছ দিয়ে চাল কুমড়া, তরকারি রান্না করে এরপর ইফতারের সবকিছু রান্না করেছি।

রান্না করে উঠেছি আর মেয়ে বলে আম্মুর পাটিসাপটা পিঠা খাবো, এরপর কি করবো পাটিসাপটার পিঠার গলাটা গুলিয়ে রেখে তারপর সবকিছু গুছিয়ে রেখে আমি আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। ভাবছি ইফতারির আধা ঘন্টা আগে পিঠা বেজে নেব তাহলে গরম গরম ইফতারির সময় খাওয়া যাবে। আর পিঠাগুলো দেখে আপনারা বলতে পারেন কালো কেনো?খেজুরের মিঠা দিয়ে পিটার টা বানিয়েছি তার জন্য এরকম কালছে দেখায়। এরপর ঠিক আমি আধা ঘন্টা পর পিঠাগুলো বানালাম।

পিঠা বানিয়ে একটা প্লেটে রেখেছি এরপর দেখি আজানের মাত্র আর পাঁচ মিনিট বাকি তারপর সবকিছু রেডি করে সামনে নিয়ে বসি।আজান দেওয়ার পর ইফতার করি,, ইফতার করে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে বিশ্রাম নি আর পোস্ট লিখতে ফোনটা হাতে নিয়েছি।

পোস্ট লেখা সম্পূর্ণ করে নামাজ পড়েছি এরপর ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিয়েছি তারপর আমরাও মা মেয়ে ভাত খেয়েছি। খাওয়া দাওয়া করে বিছানা বাটি রেডি করে শুয়ে পড়ে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়েছি।

বন্ধুরা আমার পোস্টি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই,সবার জন্য শুভকামনা রইল।(আল্লাহ হাফেজ)