লোডশেডিং এর ভয়াবহতা
20 comments
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনার সবাই অনেক ভালো আছেন। তবে আমি বুঝতে পারতেছি সবার এই অবস্থা অনেকটাই করুন, কারণ মাত্রা অতিরিক্ত গরমের কারণে সবার এই অবস্থা খারাপ যাচ্ছে। এই গরমের জন্য কোন না কোন ভাবে আমরাই কিন্তু দায়ী। আজ আমার নিজের অনুভূতিগুলোই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ এই শ্রমজীবী কিংবা চাকরিজীবী অর্থাৎ সকালবেলা উঠেই তাদের বিভিন্ন কাজে বেরোতে হয়। কিন্তু এর মত অবস্থায় যদি রাতের বেলা বারবার একটা বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে তাহলে ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না, ঠিক এমন অবশ্যই হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। শুধুমাত্র গতকাল রাতের কথা বলবো না বরংচও গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই এরকমটা চলছে।
গতকালের ঘটনাটি আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি। গতকাল রাতে রবিবারের আড্ডা শেষে বেশ কিছু কাজ ছিল, সেগুলো করলাম। এছাড়াও আজ বাসায় যাবো জন্য কাল রাতেই ব্যাগ গুছিয়ে ছিলাম। সব মিলিয়ে রাত একটা বেজে গিয়েছিল। পরবর্তীতে অনেক ঘুম লাগছিল ভাবলাম এবার একটু ঘুমাবো। কিন্তু সেই ঘুম আর কিভাবে হল ঠিক রাত একটার পরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। আমি বারান্দায় এসে বসে তো রইলাম। আমার বাসা পাঁচতলার উপরে তাই উপরের দিকে একটু বাতাস আসে। কিন্তু নিচের দিকে যারা থাকে তাদের অবস্থা আরো ভয়াবহ ছিল।
মজার বিষয় হচ্ছে ১৫ মিনিট পরে কিন্তু বিদ্যুৎ চলে আসলো। আমিও আবার রুমে গিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সবকিছু বন্ধ করে যখন ঘুমাতে যাব ঠিক তখনই আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। কি আর করার সেভাবে শুয়ে থাকলাম। প্রচন্ড ঘুম লাগছিল বেশি কিছুক্ষণ বিছানায় থাকার পরে কোনভাবেই আর ঘুম আসছিল না মাত্র অতিরিক্ত গরম লাগছিল। তাই আবারও দরজা খুলে বারান্দায় বসে রইলাম। তখন বাজে আনুমানিক রাত দুইটা। আমিও বারান্দায় বসে রইলাম বারান্দায় ভালোই বাতাস ছিল। কিন্তু নিচের দিকে যেসব বাসা ছিল যারা আর টিনের বাসায় থাকে তাদের অবস্থা ভয়াবহ ছিল। একটু পরেই শুনলাম একটা বাচ্চা খুব জোরে জোরে কান্না করছে। তার মা-বাবা তাকে নিয়ে বাইরে হাঁটতে বের হয়েছে সেই রাত 2 টার সময়।
আমার বাসার বারান্দা থেকে সেসব দৃশ্যগুলোই দেখা যাচ্ছিল। পরবর্তীতে প্রত্যেকটি মানুষ তার রুম থেকে বের হয়ে বাইরে এসে বসে রইলো। রাত ২ টা পার হয়েছে তবে পরিবেশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এইমাত্র সন্ধ্যা হলো সবাই এখনো রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছে। সেই বিদ্যুৎ এসেছিল ঠিক রাত ৩ টা ২৫ মিনিটে। সারাদিনেই কম বেশি কিন্তু বিদ্যুৎ থাকে না তারপরও রাতের বেলায় এরকম অবস্থা হলে আসলেই সাধারণ মানুষেরা অনেকটাই ভোগান্তির মধ্যে পরে।
দিনের বেলা দুই ঘন্টা কারেন্ট থাকলে এক ঘন্টা কারেন্ট থাকে না, এরকম একটা অবস্থা হয়েছে। বাংলাদেশের সব জায়গায় প্রায় একই অবস্থা তবে নীলফামারীতে নাকি অনেক কম কারেন্ট যায় এই দিকে তুলনায়। তাই ভাবছিলাম নীলফামারী থেকে কিছুদিন ঘুরে আসবো। যেহেতু আমার ভার্সিটি ও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে, তাই এটাই আমার সবথেকে ভালো মনে হয়েছে। এছাড়াও নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারবো জন্য অনেক ভালো লাগছে। এই গরমে আর সত্যিই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
লোডশেডিং এর ভয়াবহতা এর আগেও কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিকরা দেখেছেন। এবারও ঠিক তেমনটাই হতে যাচ্ছে। আগে তো এমন একটা বিষয় ছিল কোন এলাকায় কয় ঘন্টা কারেন্ট থাকবে না সেই লিস্ট দিয়ে দিয়েছিল। যদিও এখনো সেই লিস্ট প্রদান করা হয়নি তবে কারেন্ট কিন্তু এতটাই সমস্যা করছে যার কারণে কোন কাজই সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। এই গরমে আপনাদের কি অবস্থা? এছাড়াও আপনাদের এলাকায় লোডশেডিং কেমন চলছে। সেই বিষয়গুলো ছোট্ট করে কমেন্টে লিখতে পারেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: লোডশেডিং এর ভয়াবহতা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
Comments