রাতের ঢাকা শহর

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনাদের সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আজ আমি একটু ব্যতিক্রম বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আসলে আমরা সকলেই তো এই সমাজে বসবাস করছি। প্রত্যেকটি জায়গায় বিশেষ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে এবং সেসব নিয়মকানুন মেনেই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। ঠিক তেমনিভাবে ঢাকা শহরেরও কিন্তু ব্যক্তিগত কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে যা আমরা অলিখিতভাবেই চিনে থাকি। যেমন ঢাকার সকালে রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম থাকবে এই বিষয়গুলো আমরা সকলেই জানি।

ঢাকা শহরের বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সকলেই অনেক ভালো জানি। এটা বসবাসের অযোগ্য একটি শহর হিসেবে বিশ্বের প্রথম সারিতেই রয়েছে। কিন্তু তারপরও ঢাকা শহরের এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলো সৌন্দর্য আপনাকে আকর্ষিত করবে এবং সেই জায়গায় যেতে বারবার আপনাকে বাধ্য করবে। ঢাকার দিনের বেলা যতোটুকু না সৌন্দর্য তার থেকেও বেশি সৌন্দর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে রাতের ঢাকা। বিশেষ করে গুলশান এবং ধানমন্ডি এলাকায় অনেক চমৎকার কিছু পরিবেশ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও হাতিরঝিলের পুরো এলাকা জুড়ে অসংখ্য সৌন্দর্য বিরাজ করছেন। বিশেষ করে আপনারা যদি গুলশান এলাকাতে থাকেন বা গুলশানে কোন টপ বিল্ডিং এর উপরে উঠে ঢাকার শহরের দৃশ্য গুলো একবার দেখার চেষ্টা করেন তাহলেই এই সৌন্দর্যগুলো আপনি ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারবেন।

এছাড়াও রাতের সদরঘাটের এলাকায় এই একটি জমজমাট পূর্ণ মেলার মতো মনে হয় এবং দূর থেকে সেই দৃশ্যগুলো অসম্ভব সুন্দর মনে হয়। আপনাদের কার কাছে কেমন লাগে এটা জানি না তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে এই দৃশ্যগুলো খুব বেশি ভালো লাগে। আমি যখন প্রথম ঢাকায় আসি তখন পান্থপথ এলাকায় ছিলাম। যেখানে বসুন্ধরা সিটি অবস্থিত। সেখানে একটি বাসার একদম টপ ফ্লোরে আমি থাকার ব্যবস্থা করেছিলাম। যেটাকে আমরা চিল্লাকোঠা নামে চিনি। সেটা সম্ভবত ১৩ তলা বা ১৪ তলা হবে। সেখান থেকেই প্রতিনিয়ত রাতের ঢাকার দৃশ্য গুলো দেখতাম এবং আমার কাছে বেশ ভালো লাগতো উপরে ঠান্ডা বাতাস, নিচে ব্যস্ত মানুষের আনাগোনা সবমিলিয়ে অনেক ভালো একটি দৃশ্য উপভোগ করতাম।

এইতো কিছুদিন আগে আমাদের কিছু কাজের কারণে গুলশানে আমাদের একটি মিটআপ ছিল। সেখানেই বেশ কিছু ছবি আমি ক্যাপচার করেছি ইতিমধ্যে আপনারা দেখতে পারছেন। ঢাকার রাতে দৃশ্যগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে আগে যখন রামপুরা এলাকায় ছিলাম সন্ধ্যার পরে হাটতে বের হতাম এবং বিভিন্ন ওভারব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে তার রাস্তায় আনাগোনা দেখতাম। এছাড়াও নদীতেও প্রচুর পরিমাণে নৌকা চলত। সেসব নৌকার মধ্যে উঠেছি এবং অনেক ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

আসলে আমি শুধুমাত্র বোঝাতে চাচ্ছি প্রত্যেকটি বিষয়ের ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে এবং প্রত্যেকটি বিষয়গুলো আমাদের নিজের মতো করে অনুধাবন করতে হবে। তাহলেই এই সমাজে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো। সমাজে ভালো দিকে রয়েছে আবার খারাপ দিকটাও রয়েছে সবকিছু মিলিয়েই আমাদের এই জীবন। সবমিলিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে, তাহলেই এই সমাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।