নিজের ক্যারিয়ার গড়তে বা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের সবাইকেই প্রায় নিজের বাসস্থান থেকে দূরে যেতে হয়। যাতে করে আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি নিজের জন্য কিছু করতে পারি। এছাড়াও পরিবারের দায়িত্ব কাধে নিতে পারি, সেই একই উদ্দেশ্যে আমি আবারও ব্যস্ত নগর ফিরে আসলাম।
এবার ঈদে ঢাকা থেকে নীলফামারী যেতেই প্রায় ২১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট সময় লেগেছে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য পূর্ন বিষয় ছিল। এছাড়াও দুর্ভোগ অনেক পোহাতে হয়েছিল, এই গরমের মধ্যে অবস্থাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এই বিষয়গুলো যখন মডারেটর প্যানেলের শেয়ার করলাম তখন সুমন ভাই এবং তানজিরা আপু আমাকে একটু এডভাইস দেয়। যেহেতু আমাদের সৈয়দপুরে বিমানবন্দর রয়েছে তাই সৈয়দপুর থেকে ঢাকা খুব সহজেই বিমানে করে আসা যায়। আইডিয়াটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল কিন্তু টিকিটের প্রাইস নরমাল টিকিট তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল, কারণ ঈদের সময় ভাড়া প্রায় তিনগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
ঈদ শেষে যখন আবার ঢাকায় ফেরার সময় হলো তার আগেই ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখলাম যে এখন টিকিটের দাম কত! অবাক করা বিষয় হচ্ছে সবগুলো টিকিট এই দশ হাজার টাকার উপরে কিন্তু একটি মাত্র ফ্লাইট মাত্র পাঁচ হাজার টাকা টিকিট দিচ্ছে, ফ্লাইট টা আগে অ্যাড করা ছিল না রিসেন্ট এড হয়েছে। তাই আর কোন চিন্তা না করে সেখানেই টিকিট একটা কেটে ফেললাম। পরবর্তীতে জানতে পারলাম সেই দিনেই সেই বিমানটি নতুন করে অ্যাড হয়েছে, এটা অতিরিক্ত বিমান বলা চলে যদিও বাংলাদেশ বিমানের আন্ডারে ছিল অর্থাৎ সরকারি বিমান তাই প্রাথমিক অবস্থায় ৫০০০ টাকাই টিকিটের দাম রাখা হয়েছিল। যেহেতু সাথে সাথেই আমি টিকিট কেটে ফেলেছিলাম সেহেতু পাঁচ হাজার টাকা এই সেই টিকিটটি পেয়ে যাই। পরবর্তীতে অবশ্য সেই টিকিটের দাম ১০ হাজার প্লাস হয়ে গিয়েছিল। টিকিটি কেটেছিলাম প্রায় চার পাঁচ দিন আগে তাই একটু কম দামে পেয়েছি, যেদিন আবার আমি ঢাকায় ব্যাক করবো সেদিন টিকিটের প্রাইস চেক করলাম ১১ হাজার টাকা দেখায়।
ফ্লাইট ছিল রাত সাড়ে আটটার সময় বৃহস্পতিবারের রাত ছিল, সেদিন আমাদের হ্যাংআউট ছিল। নীলফামারী থেকে সৈয়দপুরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার তাই আমরা সন্ধ্যার পরপরই নীলফামারী থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সৈয়দপুর একমাত্র বিমানবন্দর উত্তরবঙ্গের। মা-বাবা দুজনেই আমাকে বিমানবন্দরে নামিয়ে দিয়ে তারা চলে আসলো, পরবর্তীতে টিকিট দেখিয়ে বোর্ডিং পাস নিয়ে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। যথাসময়ে ফ্লাইটে ওঠে পরলাম, ফ্লাইট টেকঅফ করলো। আমাদের যাত্রা সময় ছিল ৫৫ মিনিটের। সৈয়দপুর থেকে ঢাকায় যেতে ৫৫ মিনিট সময় লাগবে কিন্তু এর আগেই আমাদেরকে ঢাকা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিল।
এর আগেও বিমানে উঠেছিলাম তবে আমার আরেকটু ইচ্ছা ছিল এই বিমানের ট্রাভেল করার জন্য যাতে করে আমার ভোগান্তি টা একটু কম হয়। যেহেতু শুক্রবারে প্রায় তিনটি পরীক্ষা একদিন এই ছিল এতে করে বাসে ট্রাভেল করে এসে পরীক্ষা দেওয়াটা আমার জন্য অনেকটাই কষ্টকর বিষয় হয়ে যেত। তাই আর নিজের ইচ্ছা পূরণের জন্য এবং সময় বাঁচানোর জন্য এই পথটি বেছে নিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে অনেক ভালো একটি অভিজ্ঞতা ছিল। এয়ারপোর্টে নেমে একটি পাঠাও করে আমি আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। বাসায় গিয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত সাড়ে দশটা বেজে যায় পরবর্তীতে একটু রেস্ট নিয়ে আবারো পরদিন সকালবেলা পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
আমি যে চাকরিটা করতাম সেই চাকরিটি ইতিমধ্যে ছেড়ে দিয়েছি, কারণ প্রচুর পরিমাণে চাপ যাচ্ছে আমার ওপর। এবং পড়াশোনাতেও খুব একটা বেশি মন দিতে পারছিনা, আমি যেহেতু পড়াশোনা আর খুব বেশিদিন নেই তাই আমি চাচ্ছিলাম এই সময়টা শুধুমাত্র পড়াশোনায় ফোকাস করব এবং ভালো রেজাল্ট করার চেষ্টা করব। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমি প্রায়ই আপনাদের বলে থাকি নিজের ছোটখাটো ইচ্ছাগুলো মাঝে মাঝে পূরণ করার জন্য ঠিক তেমনি একটি ইচ্ছায় এবার পূরণ করলাম। হয়তো টাকা একটু বেশি খরচ হয়েছে তবে সময় কম লেগেছে এবং আমার মনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: ফিরে এলাম ব্যস্ত নগরীতে
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......