প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, আম্মাকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে কিছুক্ষণ এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আমার আম্মার বয়স প্রায় ৬২ বছর চলছে। বয়সের কারণে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আসলে বয়স যতো বাড়তেছে তার সাথে সাথে শারীরিক সমস্যা পাল্লা দিয়ে বাড়তেছে। বর্তমানে এখন আম্মার শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নেই। সবাই দোয়া করবেন। বিশেষ করে কোমরে ব্যথা, দাঁতে ব্যথা এবং চোখের সমস্যা। তাছাড়া আরো অন্যান্য সমস্যা রয়েছে। আসলে এক মানুষের এতো রকম সমস্যা হলে তেমন একটা বেশি কিছু করার থাকে না। দাঁতে ব্যথার জন্য বেশ কষ্ট করতেছে। অনেক দাঁত পড়ে যাওয়াতে খাওয়া দাওয়া তেমন একটা করতে পারে না। ডাক্তার দেখিয়ে যাচ্ছি তবে তেমন কোনো ভালো ফল পাচ্ছি না।
এখন আবার প্রকোড় ভাবে চোখের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর আগে কয়েকবার চোখের ডাক্তারের দেখেছি। এর মধ্যে দুইবার চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে এবং একবার চোখ লেন্স লাগানো হয়েছে। বুঝতে পারছেন আম্মা চোখ নিয়ে বেশ কষ্ট করতেছে। আজ কয়েকদিন যাবত দুই চোখে বেশ ঝাঁপসা দেখছে এবং এক চোখে বেশ জ্বালাপোড়া করতেছে।নিয়মিত চোখে ড্রপ ব্যবহার করতেছে। তারপরেও চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে আম্মাকে চোখের সমস্যার ব্যাপারে অবহেলা না করে আম্মাকে নিয়ে গতকাল বিকেলে চক্ষু হাসপাতালে গেলাম। চক্ষু হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চোখের পরীক্ষা করিয়েছি।
এই ডাক্তার কাছে আমি আরো কয়েকবার গিয়েছি। যেহেতু ডাক্তার বেশ পরিচিত তাই আম্মাকে বেশ নিবিড় ভাবে কিছুক্ষণ যাবৎ পর্যবেক্ষণ করেছে। চোখের পর্যবেক্ষণ করার পর একটা রিপোর্ট করতে বলেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি রিপোর্টটি করে নিলাম। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে রিপোর্ট ভালো এসেছে। রিপোর্ট দেখে ডাক্তার কিছু ওষুধ এবং ড্রপ লিখে দিলো। বর্তমানে এখন আম্মা বেশ চোখে যত্ন নিচ্ছে। সত্য কথা বলতে, কোন রোগ হয়ে গেলে যতোই ওষুধ সেবন এবং পরিযত্ন করুক না কেন ঐ রোগ তেমন বেশি ভালো হয় না। তাই শরীরের যে কোন সমস্যা দেখা দেওয়ার আগে শরীরের যথেষ্ট পরিযত্ন করা উচিত।
আম্মার চোখের রিপোর্ট আসার সময় পর্যন্ত বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ ডাক্তারের সাথে চোখ ভালো থাকার বিষয়ে কথাবার্তা বলেছি। ডাক্তার সাহেব চোখ ভালো রাখার ব্যাপারে অনেক পরামর্শ দিয়েছে। চোখ হচ্ছে আমাদের অমূল্য সম্পদ। চোখের আলো একবার হারিয়ে গেলে তা কোনভাবে ফিরে আসবে না। চোখের সমস্যা একবার দেখা দিলে তা সম্পূর্ণ ভাবে ভালো হবে না। তা যত বড় চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারে তত্ত্বাবধানে থাক না কেন এইটা হচ্ছে প্রকৃতির বাস্তবতা। তাই আমাদের উচিত চোখ ভালো রাখার সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখা এবং চোখ ভালো রাখার নিয়ম মেনে চলা।
চোখ ভালো রাখতে আমাদের করণীয় বিষয় গুলো মেনে চলা উচিত। আমরা বাহিরে সূর্যের আলো থেকে আসলে বা, অনেকক্ষণ যাবৎ মোবাইল, ল্যাপটপ ব্যবহার করলে আমাদের উচিত কিছুক্ষণ পরপর চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেওয়া। বাহিরে ধুলাবালি এবং সূর্যের অতি বেগুন রশ্মি থেকে বাঁচার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করা। চোখ ভালো রাখতে ভিটামিন এ যুক্ত এবং সবুজ শাকসবজি দেশীয় ফলমূল খাওয়া। আমাদের উচিত কিছুক্ষণ পরপর সবুজ প্রকৃতির দিকে তাকানো অতি আলোতে না যাওয়া। তাছাড়া নিয়মিত তিন মাস বা, ছয় মাস পরপর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। এই বিষয়গুলো মেনে চললে আমাদের চোখ সুস্থ থাকবে।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy