নাটক রিভিউ: সুপার ওয়াইফ

abubakar121 -

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাবআমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ করবো, নাটকের নাম সুপার ওয়াইফ। আশা করি আমার ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমার ব্লগটি যদি আপনাদের কাছে একটুও ভালো লাগে তাহলে আপনারা আমাকে লাইক,কমেন্ট করে উৎসাহিত করবেন। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।

আচ্ছা প্রথমে নাটকটি রিভিউ করার পূর্বে নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যারেক্টার এর সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই। নাটকের প্রধান ক্যারেক্টার--- * জিসান (ফারহান) * জুই (সাফা কবির)
ড্রামাসুপার ওয়াইফ
কাষ্টমুশফিকুর রহমান (ফারহান) সাফা কবির আরো অনেকেই।
স্ক্রিপ্টঅনামিকা মন্ডল
ডিরেক্টরমোঃ তৌফিকুল ইসলাম
ইডিট এন্ড কালারআকাশ সরকার
মিউজিকনাসরিন অনি
ভাষাবাংলা
দৈর্ঘ্যএক ঘন্টা বিয়াল্লিশ সেকেন্ড
দেশবাংলাদেশ

নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী:

নাটকটি শুরু হয় খাওয়া দাওয়া শুরু নিয়ে। তারা সবাই মিলে একসাথে খেতে বসে। খেতে বসে তারা অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে করতে তাদের খাওয়া শেষ হয়। তারপর তারা বউমার শাড়ি নিয়ে অনেক আলোচনা করা শুরু করলো যুথি তার ভাবির অনেক শাড়ি দেখে তো পুরাই অবাক,সে তার ভাবিকে বলতেছে যে এত্তো এত্তো শাড়ি এই জন্যই মনে হয় মেয়েরা বিয়ে করে তাই না ভাবী? এই কথা শুনে তো তার ভাবি হাসি দিয়ে বলতেছে যে একটা কাজ করি যুথি তোমারও বিয়ের ব্যবস্থা করি। না বর না হলেও চলবে আমরা একটা আয়োজন করবো অনেক মানুষ আসবে অনেক গিফট নিয়ে আসবে তোমার জন্য। এই কথা শুনে তো যুথি বলতে লাগলো কবুল কবুল কবুল আমি রাজি।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তারপর তার ভাবি বলতে লাগলো যে আমি আমার বিয়েতে যে গুলো গিফট পেয়েছি সেগুলো সব বিক্রি করে দিব, তার কারণ হচ্ছে এতো এতো গিফট দিয়ে আমি কি করবো।এর চেয়ে বরং আমার এই গিফট গুলো দিয়ে আমরা যখন কারো বাসায় দাওয়াত খাইতে যাবো সবাইকে একটা একটা করে গিফট দিব মা আপনি কি বলেন,,তার শাশুড়ি মা বলল যে ঠিক আছে তাহলে তো অনেক ভালো হয় ,, এতে আমি বুঝলাম যে আমার বউমা হিসাবি আছে একটু। এর পর জুই ছাদে আসে কাপড় শুকানোর জন্য। তারপর জিসান তার বউকে বলতে লাগলো যে আজকে ফ্যাক্টরিতে না জাই, জুই বলতে লাগলো যে আজকে না গেলে কালকে না গেলে পরশুদিন তো যেতেই হবে আর আপনি যে যাবেন না এই দুইদিন না গেলে লস হবে না। এরপর জুই বলতে লাগলো যে আপনি আপনার ফ্যাক্টরিতে কি বাইক নিয়ে যাবেন। জিসান বললো যে হ্যাঁ আমি তো বাইক নিয়ে ফ্যাক্টরিতে যাই।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এই কথা শুনে তো জুই সাথে সাথে বাইকের চাবি নিয়ে বলতেছে যে এই খান থেকে আপনার ফ্যাক্টরি কত দূর কয় টাকার তেল লাগে যাইতে? ফারহান বললো যে ১৫-২০ টাকার। ওহ তারপর জুই বললো যে বাইকে যাওয়া যাবে না। আপনি এই ফ্যাক্টরিতে যাবেন ওখানে গিয়ে বসে থাকবেন, আবার বাসায় আসার সময় বাইকে করে আসবেন বাসায় এসে আবার রেস্ট করবেন এরকম বসা আর বাইকে চড়াচড়ি করার মধ্যে আপনি হাঁটবেন কখন, হাঁটতে হবে না। প্রতিদিন একজন মানুষের জন্য ২০ মিনিট করে হাঁটা প্রয়োজন। আরো বললো যে এছাড়াও আমি বাইককে খুব ভয় পাই। জিসান বললো যে বাইকে এক্সিডেন্ট হয় এই জন্য? জুই বললো যে তেল বেশি খরচ হয় এই জন্য,, আরো বললো যে আসলেই আমি বাইকের এক্সিডেন্ট খুব ভয় পাই বাইক নিয়ে যাওয়া যাবে না। তারপর জিসান বললো যে ওকে আসি তাহলে। এই বলে সে হাঁটতে শুরু করল পথিমধ্যে তার বন্ধুর সাথে তার দেখা হয়।সে তার বন্ধুকে অনেক কিছু বললো তার বন্ধু ও তাকে অনেক কিছু বললো। অনেক কথা বলার পর জিসান তার বন্ধুকে বলল যে বন্ধু আমি আর হাঁটতে পারতেছি আর বেশি সময় ও নেই তুই তোর বাইকে করে আমাকে ফ্যাক্টরিতে নামাই দিয়ে আয়। তারপর তার বন্ধু বললো যে গাড়িতে ওঠ। তারপর জিসান বাজারে গিয়ে মাছ নিয়ে আসলো।ঐ মাছ পচা ছিল তাই জুই বাজারে গিয়ে মাছ ফেরত দিয়ে টাকা ফেরত তো নিয়েছে তার সাথে আবার মটর সাইকেল এর তেলের টাকাও নিয়েছে মাছের দোকানদারের কাছ থেকে।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

হঠাৎ একদিন দুপুরে জুই ভাত নিয়ে যায় জিসানের জন্যে, গিয়ে দেখে যে জিসান ঘুমাচ্ছে। অফিসে জিসান জুইকে একটু বকাবকি করার কারণে সে মন খারাপ করে রুমে বসে ছিল। জিসান জুই এর রাগ ভাঙ্গানোর জন্য তার জন্য একটা গোলাপ ফুল ও নিয়ে গিয়েছিল। এরপর জুই এর বাবা তার মেয়ের বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখে যে তার মেয়ে দরজা বন্ধ করে বসে আছে। তারপর জুই এর বাবা জুঁইকে ডাকলো তারপর জুই দরজা খুলল। এরপর তারা সবাই মিলে বসে খাওয়া দাওয়া শেষ করলো।জুই এর দাদা মূলত জমিদার ছিল। তার বাবা খুব টাকা অপচয় করতো বেশি বেশি খরচ করতো।ঐ রকম করে চলতে চলতে এক সময় জুই এর বাবার সব টাকা জমি জমা সব শেষ হয়ে যায়। হঠাৎ তার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। তখন তো তার বাবার কাছে তেমন টাকা ছিল না। তাই তার বাবা তার মায়ের চিকিৎসা করাতে পারেন না। এর পরে তার মা মারা যায়। তখন থেকেই আসলে জুই হিসাব করে টাকা খরচ করে ।


ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

আমার মতামত

এই নাটক থেকে আমরা একটা শিক্ষা নিতে পারি সেটা হচ্ছে মিতব্যায়ী হতে হবে। জুই এর দাদা কিন্তু বড় জমিদার ছিলেন।কিন্তু তার বাবা যদি অমিতব্যায়ী না হয়ে মিতব্যায়ী হতো তাহলে কিন্তু জুই এর মার চিকিৎসা করাতে পারতো। ঐ যে কথায় আছে না যে বসে খেলে রাজার রাজ্য টিকে না। এখন যদি রেটিং এর কথায় আসি তাহলে আমি এটিকে ১০/০৯ দিব। আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি কয়েক মাস আগে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে।



Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy