বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরে আমার কিছু ফটোগ্রাফি (10% beneficiaries for @shy-fox)

abidatasnimora -
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সেই সাথে এইটাও কামনা করছি যে সবাই যেন সাবধান থাকে সতর্ক থাকে নিজের প্রতি যত্নশীল হয়। আমরা সবাই সাধারণত বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি পছন্দ করি। আর ঘোরাঘুরি করতে গেলে আমরা যে বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেই তা হচ্ছে ফটোগ্রাফি করা। তারপরে আমরা আমার বাংলা ব্লগ এর সাথে যুক্ত হওয়ার পর ফটোগ্রাফি যেন আমাদের নেশা হয়ে গেছে। যেখানেই যাই আমাদের মাথায় সর্বপ্রথম একটা জিনিস চলে আসে এইটার কিছু ছবি তুলে নেই। ঠিক তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ থেকে প্রায় ২ মাস আগে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে একটি মুভি দেখতে গিয়েছিলাম প্যারাসাইট। সে মুভি দেখার রিভিউ আপনাদের সাথে আলোচনা করেছিলাম। তখন আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করি জাতীয় জাদুঘরের বিভিন্ন সংগ্রহের। যদিও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ। তাই কয়েকটি ছবি আমি তুলেছিলাম। তবে আমার ফোনটি নষ্ট হয় সেই ছবিগুলো পরবর্তীতে আর পোস্ট করা হয়নি। তবে পুরাতন ফোন থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি ।আজ জাতীয় জাদুঘরের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো ।

যে বিষয়গুলো থাকবে ফটোগ্রাফিতে

বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর ঢাকার সংগ্রহশালার ২য় তলায় গেলেই আমরা স্টাফ করা বিভিন্ন প্রানীর দেখতে পাই। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার । এটি মুলত পৃথিবীর একমাত্র ম্যানোগ্রভ বন সুন্দরবনে দেখা যায়। এই সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে অবস্থিত । এই ডোরাকাটা বাঘ পৃথিবীর অন্য কোথাও সাধারণত দেখা যায়না। বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে ২০২১ জরিপ মতে বাঘের সংখ্যা ১৩৪। ছবি সুন্দরবনের স্টাফ করা বাঘ সুন্দরবনে আবহ সৃষ্টি করে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এটি স্টাফ করা একটি বকের সংগ্রহ জাদুঘরে । এটিও ম্যানগ্রোভ বনেই একটি বকের স্টাফ সাথে সুন্দরবনের গোলপাতা গাছ ফুটে তোলা হয়েছে।বক দেখে বোঝার উপায় নাই যে এটি স্টাফ করা।

এখানে স্টাফ করা কয়েকটি প্রানী দেখা যাচ্ছে যার মধ্যে কুমির, হরিণ, গাছের ডালে ময়না পাখি ও সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর করে ফুটে তোলা হয়েছে।

এই গ্যালারিতে মূলত ইংরেজ আমলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ফটোগ্রাফি ফুটে তোলা হয়েছে । তবে সব থেকে আকর্ষণীয় হচ্ছে এখানে ইংরেজি আমলের অত্যাচার ও নির্যাতনের সাক্ষী হিসাবে নীল জ্বাল করার কড়াই সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই কড়াই করেই নীল জ্বাল হত।

এখানে মহাভারত ও রামায়ণের ক্ষুদ্র সংস্করণ হাতে লেখা কপি সংরক্ষণ করা আছে। এত ছোট করে নিখুঁত ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে তা দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

এখন যেগুলো দেখছেন এগুলো মূলত বিভিন্ন সময় রাজা, জমিদারদের ব্যবহার করা ঢেঁকি। খুব সুন্দর কারুকার্য করা। যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

সব থেকে ভালো লেগেছে পালঙ্ক । পালঙ্ক দেখেই আমার খুব ইচ্ছা জাগছিল যদি এখন এগুলো পাওয়া যেত বা আমার থাকত🥴। এত সুন্দর কারুকার্য করা যা আপনাকে মুগ্ধ করবে সেই সাথে ঐ সময়ের রাজা,জমিদাররা যে কতটা রুচিশীল ও সৌখিন ছিল সেই সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।

প্রজেক্টমিউজিয়াম ফটোগ্রাফি
CameraSamsung Galaxy S6
Photo@abidatasnimora
LocationW3W





|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||