বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘরে আমার কিছু ফটোগ্রাফি (10% beneficiaries for @shy-fox)
17 comments
যে বিষয়গুলো থাকবে ফটোগ্রাফিতে
- সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার
- মায়া হরিণ
- কুমির
- বক
- নীল জ্বাল করার কড়াই
- নকশা করা ঢেঁকি
- মহাভারত ও রামায়ণ এর ক্ষুদ্রলিপি বই
- পালঙ্ক
বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর ঢাকার সংগ্রহশালার ২য় তলায় গেলেই আমরা স্টাফ করা বিভিন্ন প্রানীর দেখতে পাই। তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগার । এটি মুলত পৃথিবীর একমাত্র ম্যানোগ্রভ বন সুন্দরবনে দেখা যায়। এই সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারতজুড়ে অবস্থিত । এই ডোরাকাটা বাঘ পৃথিবীর অন্য কোথাও সাধারণত দেখা যায়না। বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে ২০২১ জরিপ মতে বাঘের সংখ্যা ১৩৪। ছবি সুন্দরবনের স্টাফ করা বাঘ সুন্দরবনে আবহ সৃষ্টি করে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এটি স্টাফ করা একটি বকের সংগ্রহ জাদুঘরে । এটিও ম্যানগ্রোভ বনেই একটি বকের স্টাফ সাথে সুন্দরবনের গোলপাতা গাছ ফুটে তোলা হয়েছে।বক দেখে বোঝার উপায় নাই যে এটি স্টাফ করা।
এখানে স্টাফ করা কয়েকটি প্রানী দেখা যাচ্ছে যার মধ্যে কুমির, হরিণ, গাছের ডালে ময়না পাখি ও সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর করে ফুটে তোলা হয়েছে।
এই গ্যালারিতে মূলত ইংরেজ আমলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ফটোগ্রাফি ফুটে তোলা হয়েছে । তবে সব থেকে আকর্ষণীয় হচ্ছে এখানে ইংরেজি আমলের অত্যাচার ও নির্যাতনের সাক্ষী হিসাবে নীল জ্বাল করার কড়াই সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই কড়াই করেই নীল জ্বাল হত।
এখানে মহাভারত ও রামায়ণের ক্ষুদ্র সংস্করণ হাতে লেখা কপি সংরক্ষণ করা আছে। এত ছোট করে নিখুঁত ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে তা দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
এখন যেগুলো দেখছেন এগুলো মূলত বিভিন্ন সময় রাজা, জমিদারদের ব্যবহার করা ঢেঁকি। খুব সুন্দর কারুকার্য করা। যা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
সব থেকে ভালো লেগেছে পালঙ্ক । পালঙ্ক দেখেই আমার খুব ইচ্ছা জাগছিল যদি এখন এগুলো পাওয়া যেত বা আমার থাকত🥴। এত সুন্দর কারুকার্য করা যা আপনাকে মুগ্ধ করবে সেই সাথে ঐ সময়ের রাজা,জমিদাররা যে কতটা রুচিশীল ও সৌখিন ছিল সেই সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।
প্রজেক্ট | মিউজিয়াম ফটোগ্রাফি |
---|---|
Camera | Samsung Galaxy S6 |
Photo | @abidatasnimora |
Location | W3W |
Comments