লাইফ স্টাইল।। বন্যায় কবলিত মানুষদের পাশে মেহেরপুরবাসি (পর্ব.২)।।
3 comments
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩/০৯/২০২৪) রোজ: শুক্রবার।
💞জুম্মা মোবারক💞
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। তারপর ফ্রেশ হয়ে প্রতিদিনের ন্যায় নাস্তা শেষ করি। নাস্তা শেষ করেই ভাবলাম একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই পোস্ট লিখতে বসলাম।
ইতিপূর্বে আপনারা সকলেই জানেন বাংলাদেশে বন্যায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এটা যেকোনো সময় হতে পারে। তবে বন্যায় কবলিত মানুষদের পাশে আমরা মেহেরপুরবাসী দাড়াতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। কেননা মানুষ মানুষের জন্য। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল আমরা আমাদের সমার্থক অনুযায়ী যতটুকু পারি তাদের পাশে দাঁড়াবো । আলহামদুলিল্লাহ সেটা আমাদের পূর্ণ হয়েছে। আসলে বন্যায় অনেক ঘরবাড়ি ডুবে রয়েছে। যেখানে তারা খাওয়ার জন্যই তারা হাহাকারি করছে। আর এমন অবস্থা তাতে করে তাদের খাওয়ার জন্য কিছুই আর নেই। তবে আমরা যে উপহার সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলাম তার মধ্যে চিড়া ছিল 2 কেজি। আসলে চিড়া নিয়ার কারণ ছিল এগুলো যাতে খুব সহজেই তারা খেতে পারে। তো আমি অফিসে গিয়ে দেখছিলাম সেখানে চিড়ার প্যাকেটিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর এগুলো প্যাকেটিং করেছিল মাদ্রাসা থেকে বেশ কয়েকজন ছাত্র এসেছিল। আসলেই ভালো কাজের উদ্যোগ নেওয়া বাকি মাত্র কিন্তু সেই কাজ নিমিষেই হয়ে যায়। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এগুলো অনেক কাজ বাকি রয়েছে কিভাবে করব। পরক্ষণে দেখি সব কাজ আস্তে আস্তে কমপ্লিট হচ্ছে। তো আমি পাশের রুমে গিয়ে দেখলাম সেখানে চিড়াপ্যাকেট করা সম্পূর্ণ হয়েছে। এমনকি এগুলো দেখে আমি আমার ফোনে উপরের ছবিগুলো ধারণ করি। প্রতিটা প্যাকেটে ২ কেজি চিড়া দেওয়া হয়েছিল। আমরা যেহেতু ৪০০ পরিবারের জন্য আইটেম করেছিলাম। তাই আমাদের প্যাকেটিং করা হয়েছিল ৪০১ টি।
এবার আরেকটি রুমে গিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে খাবারের আরও অনেক আইটেম রয়েছে। সেখানে গিয়ে যে জিনিসটা আমি দেখতে পেলাম সেটা হচ্ছে ক্ষীর খেজুর। আসলে ক্ষীর খেজুর কিন্তু আমাদের অনেক উপকারী একটি ফল। তো আমি সেখানে দেখতে পেলাম অনেকগুলো খির খেজুর প্যাকেজ করাই কেনা হয়েছে। এতে করে আমাদের একটু কাজ বেঁচে গিয়েছিল। তবে এগুলো খুব সুন্দর করে প্যাকেট করাই থাকে তাই আমাদের আর প্যাকেট করতে হয়নি। আপনারা উপরের ছবিটিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার হাতেই একটি ক্ষীর খেজুরের প্যাকেট। এটিতে ৫০০ গ্রাম ক্ষীর খেজুর রয়েছে।
এরপরে আমি কিছুক্ষণ পরে দেখতে পেলাম এক ভ্যান গাড়িতে করে চিনির বাস্তা আসলো। আসলে আমরা যে চিড়া দিয়েছিলাম এই চিড়া খাওয়ার জন্যই এখানে চিনি দেয়া হয়েছিল। তবে আপনার ওপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি চিনির যে ছবিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছে এখানে 16 টি বাস্তা ভর্তি চিনি রয়েছে। প্রতিটি বাস্তায় ২৫টি প্যাকেট রয়েছে। আর চিনি গুলো প্যাকেটিং করা সেগুলো ক্রয় করা হয়েছিল। এতে করে আমাদের প্যাকেটিং কাজটা আর করতে হয়নি সেই সাথে সময় বেঁচে গিয়েছে। তাছাড়া এখানে প্রতিটি প্যাকেটে এক কেজি করে চিনি ছিল। চিনিগুলো নিয়ে এসে যখন রুমে রাখা হলো তখন আমি উপরের ছবিটি আমার মনে ধারণ করি।
আমরা যেহেতু লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে যাচ্ছিলাম তাই আমরা আগে থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি জেনেছিলাম। সেখান থেকে আমরা জানতে পেরেছিলাম তারা নিরাপদ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। কেননা তারা খাওয়ার পানিও পাচ্ছে না। বন্যা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে তারা যে পানি খাবে সে পানিও পাচ্ছিল না। এমনকি আপনারা হয়তো অনেক নিউজে দেখেছেন বিমানে করে উপর থেকে পানি দেওয়া হয়েছিল। তো আমরা বিষয়টা জানতে পেরে আমাদের আইটেমের মধ্যে ২ লিটার করে পানি রেখেছিলাম। এখানে আমাদের ৪০০ বোতল পানি রয়েছে। এখানে প্রতিটা বোতলে ২ লিটার করে পানি রয়েছে। তাহলে লেটার হিসাব করলে এখানে ৮০০ লিটার পানি রয়েছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেকগুলো পানির বোতল একটি জায়গায় রাখা হয়েছে। পানিগুলো স্পা কোম্পানির। একজন মহৎ ব্যক্তি তিনি এই পানিগুলো দিয়েছিলেন। আসলে পানির অপর নাম জীবন। পানি খেয়ে বেশ কিছুদিন থাকা যায়। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই যে মহৎ ব্যক্তি এই প্রাণীগুলো বিনা টাকায় দিয়েছিল তাকে হাজার বার শুকরিয়া জানাই। আসলে মানুষ কতটা সৎ হলে এভাবে দান করে থাকে। যাই হোক আজকে এতোটুকুই শেয়ার করলাম। বাকিগুলো অন্যান্য পর্বে শেয়ার করা হবে।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
Comments